ব্যালন ডি'অর: সেরা তিনে জায়গা হয়নি রাফিনিয়ার

জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ব্যালন ডি'অর জিতলেন পিএসজির ফরাসি ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে। ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত পুরস্কারটি উঁচিয়ে ধরতে তিনি হারালেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ উইঙ্গার লামিন ইয়ামালকে।
আজ সোমবার দিবাগত রাতে প্যারিসের ঐতিহাসিক থিয়াত্র দ্যু শাতলেতে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যালন ডি'অরের ৬৯তম আসর। প্রথমবারের মতো বর্ষসেরা হওয়া ২৮ বছর বয়সী দেম্বেলের হাতে ট্রফি তুলে দেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনিয়ো।
ব্যালন ডি'অরের লড়াইয়ে রাফিনিয়াও ছিলেন আলোচিত প্রতিদ্বন্দ্বী। তবে সেরা তিনে জায়গা হয়নি বার্সেলোনার ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের, পেয়েছেন পঞ্চম স্থান। তাকে টপকে পিএসজির পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনিয়া তৃতীয় ও লিভারপুলের মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ চতুর্থ হয়েছেন।
গত ২০২৪-২৫ মৌসুমে বার্সার হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রাফিনিয়া খেলেন ৫৭ ম্যাচ। তিনি ৩৪ গোলের পাশপাশি ২৫ অ্যাসিস্ট করেন। তার ক্লাব জেতে স্প্যানিশ লা লিগা, কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা।
পিএসজির জার্সিতে দেম্বেলে খেলেন মোট ৫৩ ম্যাচ। নিজে ৩৫ গোল করার পাশাপাশি সহায়তা করেন ১৬ গোলে। প্যারিসিয়ানদের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অধরা শিরোপা জয়ে তিনি রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। 'ট্রেবল'সহ মোট চারটি ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন দেম্বেলে। আরও জেতেন ফরাসি লিগ ওয়ান, ফরাসি কাপ ও ফরাসি সুপার কাপ।
বার্সেলোনার হয়ে সব মিলিয়ে ৫৫ ম্যাচ খেলা ইয়ামাল ১৮ গোল ও ২৫ অ্যাসিস্ট করেন। ক্লাব সতীর্থ রাফিনিয়ার মতো তিনিও উঁচিয়ে ধরেন স্প্যানিশ লা লিগা, কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপ।
সংক্ষিপ্ত তালিকায় ঠাঁই পাওয়া সেরা ত্রিশ ফুটবলারের চূড়ান্ত অবস্থান:
প্রথম: উসমান দেম্বেলে (পিএসজি ও ফ্রান্স)
দ্বিতীয়: লামিন ইয়ামাল (বার্সেলোনা ও স্পেন)
তৃতীয়: ভিতিনিয়া (পিএসজি ও পর্তুগাল)
চতুর্থ: মোহামেদ সালাহ (লিভারপুল ও মিশর)
পঞ্চম: রাফিনিয়া (বার্সেলোনা ও ব্রাজিল)
ষষ্ঠ: আশরাফ হাকিমি (পিএসজি ও মরক্কো)
সপ্তম: কিলিয়ান এমবাপে (রিয়াল মাদ্রিদ ও ফ্রান্স)
অষ্টম: কোল পালমার (চেলসি ও ইংল্যান্ড)
নবম: জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা (পিএসজি/ম্যানচেস্টার সিটি ও ইতালি)
দশম: নুনো মেন্দেস (পিএসজি ও পর্তুগাল)
১১তম: পেদ্রি (বার্সেলোনা ও স্পেন)
১২তম: খাভিচা কাভারাতস্খেলিয়া (নাপোলি/পিএসজি ও জর্জিয়া)
১৩তম: হ্যারি কেইন (বায়ার্ন মিউনিখ ও ইংল্যান্ড)
১৪তম: দিজিরে দুয়ে (পিএসজি ও ফ্রান্স)
১৫তম: ভিক্তর ইয়োকেরেস (স্পোর্তিং/আর্সেনাল ও সুইডেন)
১৬তম: ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ ও ব্রাজিল)
১৭তম: রবার্ত লেভানদোভস্কি (বার্সেলোনা ও পোল্যান্ড)
১৮তম: স্কট ম্যাকটমিনে (নাপোলি ও স্কটল্যান্ড)
১৯তম: জোয়াও নেভেস (পিএসজি ও পর্তুগাল)
২০তম: লাউতারো মার্তিনেজ (ইন্টার মিলান ও আর্জেন্টিনা)
২১তম: সেরহু গিরাসি (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও গিনি)
২২তম: আলেক্সিস মাক আলিস্তার (লিভারপুল ও আর্জেন্টিনা)
২৩তম: জুড বেলিংহ্যাম (রিয়াল মাদ্রিদ ও ইংল্যান্ড)
২৪তম: ফাবিয়ান রুইজ (পিএসজি ও স্পেন)
২৫তম: ডেনজেল ডামফ্রিস (ইন্টার মিলান ও নেদারল্যান্ডস)
২৬তম: আর্লিং হলান্ড (ম্যানচেস্টার সিটি ও নরওয়ে)
২৭তম: ডেকলান রাইস (আর্সেনাল ও ইংল্যান্ড)
২৮তম: ভার্জিল ফন ডাইক (লিভারপুল ও নেদারল্যান্ডস)
২৯তম: ফ্লোরিয়ান ভিরৎজ (বায়ার লেভারকুসেন/লিভারপুল ও জার্মানি)
৩০তম: মাইকেল ওলিসে (বায়ার্ন মিউনিখ ও ফ্রান্স)।
Comments