পিএসজি ও ভক্তদের ব্যালন ডি’অর উৎসর্গ দেম্বেলের
পিএসজির হয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর এ মৌসুমেই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত স্বীকৃতি পেলেন উসমান দেম্বেলে। জিতে নিলেন ব্যালন ডি'অর। সোমবার বিশ্বের সেরা ফুটবলার হিসেবে নাম ঘোষণার মুহূর্তে হাসির আড়াল ভেদ করে বেরিয়ে এলো আবেগের অশ্রু। পরিবারের কথা মনে করতেই চোখ ভিজে উঠল ফ্রান্সের এই তারকার।
২০২২ সালে করিম বেনজেমার পর প্রথম ফরাসি ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি'অর জিতলেন দেম্বেলে। এবার তিনি ছাড়িয়ে গেলেন বার্সেলোনা ও স্পেনের তরুণ সেনসেশন লামিন ইয়ামালকে। ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড জানালেন, এ অর্জন তার কাছে একেবারেই অপ্রত্যাশিত।
দেম্বেলের কণ্ঠে তখনও আবেগ ঝরে পড়ছিল। রয়টার্সের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, 'আমি কাঁদতে চাইনি। কিন্তু পরিবারের কথা, যারা সবসময় আমার পাশে থেকেছেন তাদের কথা বলতে গিয়েই আর ধরে রাখতে পারিনি। চোখের পানি বের হয়ে এলো।'
তবে তিনি স্পষ্ট করলেন, ব্যক্তিগত স্বীকৃতি কখনোই তার লক্ষ্য ছিল না।
'এটা আমার ব্যক্তিগত কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। তবে এমন একটি ট্রফি পাওয়া নিঃসন্দেহে দারুণ এক অনুভূতি। যখন এটা ঘটে, তখন অবশ্যই আপনি খুশি হবেন, আনন্দে ভেসে যাবেন,' বলেন দেম্বেলে।
করিম বেনজেমাকে ঘিরে একসময় বলা হয়েছিল 'মানুষের ব্যালন ডি'অর'। সেই প্রসঙ্গে দেম্বেলে বিনয়ী ভঙ্গিতেই জবাব দিলেন, 'বেনজেমাই মানুষের ব্যালন ডি'অরের প্রথম নাম্বার। আমি দ্বিতীয়।'
নিজের পুরস্কারকে দলের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে ভোলেননি তিনি, 'এই অর্জন শুধু আমার নয়, এটা পুরো দলের। যারা আমাকে ভালোবাসেন, প্যারিসের সব সমর্থক, ক্লাবের স্টাফ আর সতীর্থ খেলোয়াড়দের সবার জন্য।'
চোটের কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরে মাঠের বাইরে থাকা দেম্বেলে আশার বাণীও শুনিয়েছেন সমর্থকদের, 'অবস্থা অনেকটাই ভালো। খুব শিগগিরই মাঠে ফিরব।'


Comments