ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন হাকিমি

অবশেষে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন পিএসজির মরক্কান তারকা আশরাফ হাকিমি। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ অস্বীকার করে আসা এই ডিফেন্ডার এবার খোলাখুলিভাবে জানালেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং জীবন ও পরিবারকে ধ্বংস করার মতো এক ষড়যন্ত্র।
২০২৩ সালে প্রথম এই অভিযোগের মুখে পড়েন হাকিমি। এক ২৪ বছর বয়সী নারী অভিযোগ করেন, প্যারিসের বুলোন-বিলাঁকুরে তার বাসায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। যদিও শুরুতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ না করলেও পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তের ভিত্তিতে হাকিমির বিরুদ্ধে মামলা গঠন হয় এবং তাকে বিচারিক তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। মামলার রেশ টেনে এখনো চলছে আইনি প্রক্রিয়া।
ফরাসি চ্যানেল কানাল প্লাসকে দেওয়া এক খোলামেলা সাক্ষাৎকারে হাকিমি দৃঢ়ভাবে বলেন, 'আমি জীবনে কখনো এমন আঘাত পাইনি। এটা আমার জন্য যেমন কষ্টকর, তেমনি আমার পরিবারের জন্যও দুঃসহ। আমার সন্তানরা এখনো ছোট, কিছু বোঝে না। কিন্তু একদিন তারা বড় হবে, ইন্টারনেটে বাবার নামে এমন মিথ্যা অভিযোগ পড়বে, এটা কোনো বাবা-ই চায় না।'
নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি আরও বলেন, 'আমি জানি, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা একেবারেই মিথ্যা। আমি জানি আমি কে। আমি জানি আমি কিছুই করিনি এবং কখনোই করব না। পুলিশের কাছে সবসময় আমি নিজেকে হাজির রেখেছি, এমনকি নিজেই গিয়ে আমার বক্তব্য জানিয়েছি। আমার ডিএনএ পর্যন্ত তাদের হাতে দিয়েছি। আমি পুরোপুরি স্বচ্ছ থেকেছি। অথচ যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেননি।'
একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রে থাকাটা যেমন সৌভাগ্যের, তেমনি বিপজ্জনকও হতে পারে, এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন হাকিমি, 'ফুটবলের জগতে সবসময় অনেক মানুষ থাকে, যারা আমাদের সুযোগ নিতে চায়। মেয়েরা কাছে আসে, ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা করে। তাই এখন আমি আমার বন্ধুবৃত্ত ছোট করেছি, শুধু বিশ্বস্ত মানুষদের ভেতরে জায়গা দিই।'
২০২৫ সালের আগস্টে প্রসিকিউটররা হাকিমিকে ওত-দ্য-সেনের ফৌজদারি আদালতে বিচার করার আবেদন জানিয়েছেন। যদি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন, তবে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তার। হাকিমির আইনজীবীরা অবশ্য অভিযোগের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
Comments