অবশেষে ফিরছেন গার্সিয়া-রাফিনিয়া
কার্লোস তার্তিয়েরে বার্সেলোনার জয় যেমন তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছিল, তেমনি মূল্যও চুকাতে হয়েছিল বড়। সেপ্টেম্বরে সেই ম্যাচেই হ্যান্সি ফ্লিক হারান হুয়ান গার্সিয়া এবং রাফিনিয়াকে। দুইজনেরই অনুপস্থিতি গত কয়েক মাসে স্পষ্টভাবে ভুগিয়েছে দলকে। তবে আশার কথা দু'জনই পূর্ণমাত্রায় অনুশীলনে ফিরেছেন।
কাম্প ন্যুতে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচেই তাদের ফিরে পাওয়ার আশা করছে বার্সেলোনা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফ্লিক জোর দিচ্ছেন রক্ষণভাগের উন্নতির ওপর। হাই লাইনে ডিফেন্স সাজিয়ে কার্যকর প্রেসিং না হলে প্রতিপক্ষ সহজেই ফাঁক খুঁজে নিতে পারে। সেভিয়ায় অক্টোবরের পরাজয়ের পর পাউ কুবার্সি বলেন, 'চান্সগুলো তৈরি হচ্ছে সামনে থেকেই। আমাদের আবার আগের মতো প্রেসিংয়ে ফিরতে হবে। আমরা ঢিলেমি করছি, যা চলতে পারে না।'
বল দখলে না থাকলে রাফিনিয়ার অনুপস্থিতি সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে কমে গেছে শক্তি, গতি ও প্রেসিংয়ের ধার। ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার নিয়মিতই স্কোয়াডের সেরা জিপিএস রিডিং দিতেন।
বল পায়ে থাকলেও এই ব্রাজিলিয়ানের অনুপস্থিতি ফ্লিককে আক্রমণভাগের কাঠামো বদলাতে বাধ্য করেছে। রাফিনিয়ার স্বাভাবিক কেন্দ্রীয় পজিশন ধরে খেলার পরিকল্পনা বদলে ফেলতে হয়েছে জার্মান কোচকে।
তার বদলি হিসেবে রাশফোর্ডকে সরিয়ে দেওয়া হয় উইংয়ে। পরিবর্তনটা ছোট মনে হলেও, দলটা হারিয়েছে স্বাভাবিক ছন্দ। পরিসংখ্যানে দেখা যায় গড়ে প্রতি ম্যাচে রাশফোর্ডের চেয়ে ছয়বার বেশি বল নিয়ে জড়িত থাকেন রাফিনিয়া। বাম দিকের সঙ্গে সতীর্থদের সম্পর্কও বদলে গেছে।
তবে রাশফোর্ডও হাত-পা গুটিয়ে বসে নেই। ছয় গোল ও সাত অ্যাসিস্টে তিনি এই মৌসুমে বার্সার সর্বোচ্চ গোলস্রষ্টা। ৫৬টি শটে তিনি বার্সার শীর্ষ শুটার, এমনকি ম্যাচপ্রতি শট নেওয়ার দিক থেকে আর্লিং হালান্ডকেও ছাড়িয়ে গেছেন। রাশফোর্ড বার্সাকে কিছু জায়গায় এগিয়ে দিলেও কিছু জায়গায় পিছিয়েও দিয়েছে।
টানা দ্বিতীয় মৌসুমে জরুরি ডাক পেয়েছিলেন শেজনি। কিন্তু পোলিশ গোলরক্ষক গার্সিয়ার উচ্চতায় উঠতে পারেননি। অবশ্য ক্রমশ ভেঙে পড়া রক্ষণভাগেরও 'ভিকটিম' ছিলেন তিনি।


Comments