আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে টিকে রইল বাংলাদেশ

মঙ্গলবার আবুধাবিতে এশিয়া কাপের 'বি' গ্রুপের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারাল বাংলাদেশ। দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের বিপক্ষে এটাই টাইগারদের প্রথম জয়। বাঁচা-মরার ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট পেয়ে আসরের সুপার ফোরে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল লিটন দাসের দল।
শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ
আগামী বৃহস্পতিবার 'বি' গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। সেদিন লঙ্কানরা জিতলে বাংলাদেশ কোনো হিসাবনিকাশ ছাড়াই চলে যাবে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে।
তবে আফগানিস্তান জিতলে, তিন দলের পয়েন্টই হবে সমান ৪। সেক্ষেত্রে বিবেচনায় আসবে নেট রান রেট। যেহেতু নেট রান রেটে বাংলাদেশ বাকিদের চেয়ে পিছিয়ে, তাই লিটন দাসের দলের সুপার ফোরে যাওয়ার জন্য আফগানদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারতে হবে শ্রীলঙ্কাকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (সাইফ ৩০, তানজিদ ৫২, লিটন ৯, হৃদয় ২৬, শামীম ১১, জাকের ১২*, সোহান ১২*; ফারুকি ৪-০-৩৭-০, ওমরজাই ৩-০-১৯-১, গজনফর ৩-০-৩২-০, রশিদ ৪-০-২৬-২, নবি ২-০-১৭-০, নুর ৪-০-২৩-২)
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৪৬ (সেদিকউল্লাহ ০, গুরবাজ ৩৫, ইব্রাহিম ৫, নাইব ১৬, নবি ১৫, ওমরজাই ৩০, জানাত ৬, রশিদ ২০, নুর ১৪, গজনফর ০, ফারুকি ২*; নাসুম ৪-১-১১-২, তাসকিন ৪-০-৩৪-১, মোস্তাফিজ ৪-০-২৮-৩, রিশাদ ৪-০-১৮-২, শামীম ১-০-১৬-০, সাইফ ৩-০-৩৯-০)
ফল: বাংলাদেশ ৮ রানে জয়ী।
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে টিকে রইল বাংলাদেশ
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২২ রান দরকার ছিল আফগানিস্তানের। হাতে ছিল স্রেফ ১ উইকেট। দুটি ছক্কাসহ ১৩ রান খরচ করার পর ম্যাচের শেষ ডেলিভারিতে নুর আহমেদকে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানালেন তাসকিন আহমেদ।
১৪৬ রানে অলআউট হয়ে গেল আফগানরা। পুরো ৪০ ওভারের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে বাংলাদেশ জিতল ৮ রানে। ফলে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলার আশা টিকে রইল লিটন দাসের দলের।
১৫৪ রানের পুঁজি রক্ষায় বাংলাদেশকে সুর বেঁধে দিলেন নাসুম আহমেদ। প্রথমবারের মতো এবারের আসরে খেলতে নামা বাঁহাতি স্পিনার ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে নিলেন ২ উইকেট। বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ৩ উইকেট পেলেন ২৮ রানের বিনিময়ে। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ১৮ ও ডানহাতি পেসার তাসকিন ৩৪ রান খরচায় শিকার করলেন দুটি করে উইকেট।
এই জয়ে তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করল বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচের দুটিতেই জয় পাওয়া শ্রীলঙ্কার অর্জনও ৪ পয়েন্ট। তবে শ্রীলঙ্কা নেট রান রেটের হিসাবে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। শ্রীলঙ্কার নেট রাট রেট +১.৫৪৬, বাংলাদেশের -০.২৭০। দুই ম্যাচ খেলে ২ পয়েন্ট পাওয়া আফগানিস্তানের নেট রান রেট +২.১৫০।
রশিদের পর মোস্তাফিজের শিকার গজনফর, জয়ের দুয়ারে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে ক্রিজে ছিলেন রশিদ খান। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আফগানিস্তানের অধিনায়ককে শর্ট থার্ড ম্যানে তাসকিন আহমেদের ক্যাচ বানালেন মোস্তাফিজুর রহমান। পরের বলে আরেকটি সাফল্য পেলেন বাঁহাতি পেসার। আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর ধরা পড়লেন উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে।
রশিদের আউট হলেন ২০ রানে। তার ১১ বলের ইনিংসে চার দুটি ও ছক্কা একটি। গজনফর পেলেন গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ। ১৯ ওভারে আফগানদের রান ৯ উইকেটে ১৩৩। শেষ ওভারে তাদের দরকার আরও ২২ রান।
সোহানের নৈপুণ্যে রানআউট জানাত
সোহানের নৈপুণ্যে রানআউট জানাত
নাসুম আহমেদের শেষ ওভারে ফিল্ডিংয়ে নৈপুণ্যে দেখালেন বাংলাদেশের নুরুল হাসান সোহান। ওয়াইড এক্সট্রা কাভারে দারুণ ডাইভে বল লুফে নিয়েই থ্রো করলেন স্ট্রাইক প্রান্তে। উইকেটরক্ষক লিটন দাস স্টাম্প ভাঙতে দেরি করলেন না। করিম জানাত তখন ক্রিজ থেকে অনেক দূরে। তিনি রানআউট হলেন ৮ বলে ৬ রান করে।
বাঁহাতি স্পিনার নাসুম থাকলেন নিয়ন্ত্রিত। দিলেন মাত্র ৪ রান। ১৮ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১২৮ রান। হাতে ৩ উইকেট নিয়ে বাকি ১২ বলে তাদের দরকার ২৭ রান। ক্রিজে আছেন দলটির অধিনায়ক রশিদ খান ও নুর আহমেদ।
ওমরজাইয়ের ঝড় থামালেন তাসকিন
বাংলাদেশের জন্য ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। বাউন্ডারির পসরা সাজিয়ে রান আনছিলেন দ্রুত। তাকে থামিয়ে দলকে স্বস্তি দিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ছক্কা হজমের পরের বলেই প্রতিশোধ নিলেন ডানহাতি পেসার।
তাসকিনের স্লোয়ার ডেলিভারি ফের মাঠের বাইরে পাঠাতে চাইলেন ওমরজাই। কিন্তু ব্যাটের নিচের কানায় লেগে বল উঠে গেল অনেক উঁচুতে। মাথা ঠাণ্ডা রেখে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সাইফ হাসান নিলেন গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ। ১৬ বলে একটি চার ও তিনটি ছক্কায় ওমরজাইয়ের সংগ্রহ ৩০ রান।
১৬ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৬ উইকেটে ১১০। ক্রিজে আছেন করিম জানাত ও দলটির অধিনায়ক করিম জানাত। বাকি ২৪ বলে জয়ের জন্য ৪৫ রান দরকার তাদের। বাংলাদেশের চাই ৪ উইকেট।
সাইফের এক ওভার ২০ নিলেন ওমরজাই
বাংলাদেশ খেলতে নেমেছে চারজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে। ফলে অনিয়মিত বোলারদের দিয়ে অন্তত চারটি ওভার করাতে হবে অধিনায়ক লিটন দাসকে। সেকারণে শামীম হোসেন ও সাইফ হাসানের দ্বারস্থ হলেন তিনি। শামীম নিজের প্রথম ওভারে ১৬ দেওয়ার পর তাকে আর আক্রমণে আনা হলো না। সাইফ নিজের প্রথম দুই ওভারে ১৯ দিলেও তার ওপর আস্থা রাখলেন লিটন। কিন্তু আস্থার প্রতিদান মিলল না।
নিজের তৃতীয় ও ইনিংসের ১৪তম ওভারে ২০ রান দিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দুটি ছক্কার পাশাপাশি হাঁকালেন একটি চার। ছয় ওভার বাকি থাকতে আফগানিস্তানের রান ৫ উইকেটে ৯৭ রান। ওমরজাই ক্রিজে আছেন ১২ বলে ২৩ রানে। তার সঙ্গী করিম জানাত।
আক্রমণে ফিরে নবিকে বোল্ড করলেন মোস্তাফিজ, বিপদে আফগানরা
১৩তম ওভারে আক্রমণে ফিরলেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশকে পঞ্চম সাফল্য এনে দিলেন বাঁহাতি পেসার। ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে গেলেন মোহাম্মদ নবি। ১৫ বলে একটি ছক্কায় তার রান ১৫। তার বিদায়ে বিপদ বাড়ল আফগানিস্তানের। সাত ওভার বাকি থাকতে তাদের রান ৫ উইকেটে ৭৭। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও করিম জানাত।
নাইবের পর গুরবাজকে বিদায় করলেন রিশাদ

একপ্রান্ত আগলে ছিলেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তাকে মাথাব্যথার কারণ হতে দিলেন না রিশাদ হোসেন। নিজের টানা দ্বিতীয় ওভারে বাংলাদেশের লেগ স্পিনার নিলেন উইকেট।
স্লটে পড়া ডেলিভারি প্যাডল সুইপে ছক্কা মারতে চাইলেন গুরবাজ। কিন্তু টাইমিং হলো না ঠিকঠাক। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে সীমানার কাছে ক্যাচ নিলেন জাকের আলী অনিক। গুরবাজ আউট হলেন ৩১ বলে ৩৫ রানে। তার ব্যাট থেকে এলো দুটি করে চার ও ছক্কা।
গুরবাজের বিদায়ে বিপদে পড়ল আফগানিস্তান। ১১ ওভারে তাদের রান ৪ উইকেটে ৬৪। ক্রিজে আছেন মোহাম্মদ নবি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। বাকি ৫৪ বলে ৯১ রান দরকার আফগানদের, বাংলাদেশের চাই ৬ উইকেট।
নাইবকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন রিশাদ
দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিল আফগানিস্তান। অষ্টম ওভারে আক্রমণে আসা শামীম হোসেনের ওপর চড়াও হলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও গুলবদিন নাইব। দুজন মিলে আনলেন ১৬ রান। পরের ওভারেই রিশাদ হোসেন তাদের বিচ্ছিন্ন করে উল্লাসে মাতালেন বাংলাদেশকে। ভাঙল ২৭ বলে ৩৩ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। সহজ ফিরতি ক্যাচ নিয়ে এই লেগ স্পিনার বিদায় করলেন নাইবকে। ১৪ বলে দুটি চারে তার রান ১৬।
৯ ওভারে আফগানিস্তানের রান ৩ উইকেটে ৫৩। একপ্রান্ত আগলে থাকা গুরবাজের নতুন সঙ্গী মোহাম্মদ নবি।
পাওয়ার প্লেতে আফগানিস্তানের ২৭ রান, বাংলাদেশের ২ উইকেট
পাওয়ার প্লেতে দাপট দেখাল বাংলাদেশ দল। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের কল্যাণে ২ উইকেট তুলে নিল তারা। টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপরীতে আফগানিস্তান তুলতে পারল মাত্র ২৭ রান।
ক্রিজে রহমানউল্লাহ গুরবাজ আছেন ১৬ বলে ১৩ রানে। তার সঙ্গী গুলবদিন নাইব খেলছেন ৭ বলে ৭ রানে।
নাসুমের দ্বিতীয় আঘাত, সাজঘরে ফিরলেন ইব্রাহিম

নিজের তৃতীয় ও ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ফের আঘাত হানলেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তিনি বাংলাদেশকে পাইয়ে দিলেন আরেকটি সাফল্য। দলীয় ১৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল আফগানিস্তান।
ড্রাইভ করার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হলেন ইব্রাহিম জাদরান। রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কল হওয়ায় টিকে গেল মাঠের আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্ত। শূন্য রানে জীবন পেলেও ইব্রাহিমকে বিপজ্জনক হতে দিল না টাইগাররা। ১২ বলে একটি চারে তার রান ৫।
৫ ওভারে আফগানিস্তানের রান ২ উইকেটে ২০। ক্রিজে ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজের নতুন সঙ্গী গুলবদিন নাইব।
ইব্রাহিমকে জীবন দিলেন রিশাদ
দ্রুত আরেকটি উইকেট নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ। নিজের প্রথম ওভারেই সাফল্য পেতে পারতেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তার শেষ বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে। এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ তুললেন ইব্রাহিম জাদরান। বেশ সহজ হলেও তা ছেড়ে দিলেন রিশাদ হোসেন। ব্যক্তিগত শূন্য রানে বেঁচে গেলেন ইব্রাহিম। ২ ওভার শেষে আফগানিস্তানের রান ৩ উইকেটে ১।
শুরুতেই সেদিকউল্লাহকে বিদায় করলেন নাসুম
দারুণ সূচনা বাংলাদেশের। প্রথম বলেই মিলল উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের ডেলিভারিটি ছিল খানিকটা দ্রুত, ভালো লেংথে পড়ে কিছুটা উঠল। সেদিকউল্লাহ আতাল ব্যাকফুটে গিয়ে রক্ষণের চেষ্টা করলেন। কিন্তু ব্যাট এড়িয়ে তার পেছনের পায়ে গিয়ে লাগল বল। একেবারে সোজাসুজি, পরিষ্কার আউট। আর আম্পায়ারও সঙ্গে সঙ্গেই আঙুল তুললেন।
রহমানউল্লাহ গুরবাজের সঙ্গে একটু কথা বললেন, তারপর রিভিউ না নিয়েই হাঁটতে শুরু করলেন সেদিকউল্লাহ। গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ মিলল তার। প্রথম ওভারে কোনো রান পায়নি আফগানিস্তান। ক্রিজে গুরবাজের সঙ্গী ইব্রাহিম জাদরান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫৪/৫ (সাইফ ৩০, তানজিদ ৫২, লিটন ৯, হৃদয় ২৬, শামীম ১১, জাকের ১২*, সোহান ১২*; ফারুকি ৪-০-৩৭-০, ওমরজাই ৩-০-১৯-১, গজনফর ৩-০-৩২-০, রশিদ ৪-০-২৬-২, নবি ২-০-১৭-০, নুর ৪-০-২৩-২)।
শেষ ৬ ওভারে মাত্র ৪০ রান, বাংলাদেশ থামল ১৫৪ রানে

ইনিংসের মাঝপথে ১৭০ রানের পুঁজি পাওয়ার আশা জাগাল বাংলাদেশ। কিন্তু তানজিদ হাসান তামিম ফিফটি হাঁকিয়ে ফেরার পর সেই স্বপ্ন আর ডানা মেলতে পারল না। অধিনায়ক লিটন দাস, শামীম হোসেন ও জাকের আলী থাকলেন খোলসবন্দি। তাই বিফলে গেল উদ্বোধনী জুটিতে (৪০ বলে ৬৩ রান) তানজিদ ও সাইফ হাসানের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিত।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শেষমেশ পেল ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৪ রানে সাদামাটা পুঁজি। ১৪ ওভারে তাদের রান ছিল ৩ উইকেটে ১১৪ রান। শেষ ৬ ওভারে তারা ২ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারল আর মাত্র ৪০ রান। জাকের ১৩ বলে একটি চারে করলেন অপরাজিত ১২ রান। মুখোমুখি হওয়া শেষ পাঁচ বলের চারটিই তিনি খেললেন ডট। সোহান অপরাজিত থাকলেন দুটি চারের সাহায্যে ৬ বলে ১২ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান এলো তানজিদের ব্যাট থেকে। ৩১ বল মোকাবিলায় চারটি চার ও তিনটি ছক্কা মারলেন তিনি। দুটি চার ও একটি ছক্কায় সাইফ খেললেন ২৮ বলে ৩০ রানের ইনিংস। আফগানিস্তানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিলেন অধিনায়ক রশিদ খান ও নুর আহমেদ।
হৃদয়ও বিদায় নিলেন, বাংলাদেশের ১৬০ রান হওয়া নিয়েই শঙ্কা
থিতু হয়ে ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না তাওহিদ হৃদয়। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শিকার হলেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানার কাছে ক্যাচ দিলেন করিম জানাতের হাতে। ১০ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় হৃদয়ের রান ২৬।
এক ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৪৫। ক্রিজে আছেন জাকের আলী ও নুরুল হাসান সোহান। এই ওভারের শেষ তিনটি বলই ডট দিলেন জাকের। ১১ বলে তার রান ১০। সোহান ২ বলে ৫ রানে খেলছেন।
রিভিউ নষ্ট করে সাজঘরে ফিরলেন শামীম
রশিদ খানের করা ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউ হলেন শামীম হোসেন। সাজঘরে ফেরার আগে রিভিউও নষ্ট করলেন তিনি। ১১ বলে দুটি চারে তার সংগ্রহ ১১ রান।
চার ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১২৪। ক্রিজে তাওহিদ হৃদয় আছেন ১৪ বলে ২০ রানে। তার সঙ্গী জাকের আলী অনিক। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় টাইগারদের রান তোলার গতি অনেক কমে গেছে। স্কোরবোর্ডে ১৬০ রান জমা হওয়া নিয়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ফিফটি হাঁকিয়ে তানজিদের বিদায়
ত্রয়োদশ ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশের ইনিংসের শতরান পূর্ণ হলো, ৭৩ বলে। প্রথম পঞ্চাশ যদিও এসেছিল বেশ দ্রুতগতিতে, ৩৪ বলে। এরপর ওভারটির পঞ্চম বলে তৃতীয় উইকেট হারাল টাইগাররা।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেও শিকার ধরলেন আফগানিস্তানের স্পিনার নুর আহমেদ। তাকে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় লং-অফে ইব্রাহিম জাদরানের তালুবন্দি হলেন তানজিদ। ৩১ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় তিনি খেললেন ৫২ রানের ঝলমলে ইনিংস।
১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৪ রান। ক্রিজে আছেন তাওহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৮ বলে তানজিদের ফিফটি

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সপ্তম ফিফটির দেখা পেলেন তানজিদ হাসান তামিম। সেজন্য তার লাগল মাত্র ২৮ বল। বাংলাদেশের জার্সিতে তার চেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে মাত্র চারজনের। তারা হলেন লিটন দাস (১৫টি), সাকিব আল হাসান (১৩টি), তামিম ইকবাল (৮টি) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৮টি)। ১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৯৫ রান।
নুরের প্রথম বলেই আউট লিটন
পানি পানের বিরতির পর একাদশ ওভার করতে এলেন স্পিনার নুর আহমেদ। ম্যাচে নিজের প্রথম বলেই উইকেট পেলেন তিনি। রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে পাঠালেন বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাসকে।
সুইপ করার চেষ্টায় ব্যর্থ হলেন লিটন। তিনি থামলেন ১১ বলে ৯ রান করে। তার ইনিংসে নেই কোনো বাউন্ডারি। ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯০ রান। ক্রিজে তানজিদ হাসান তামিমের নতুন সঙ্গী তাওহিদ হৃদয়।
পাওয়ার প্লের পর বাংলাদেশের রান তোলার গতি বেশ কমে গেছে। সবশেষ ৫ ওভারে ২ উইকেট খুইয়ে ৩১ রান তুলতে পেরেছে তারা।
বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ৮৭/১
তানজিদ হাসান তামিমের ঝড়ে ইনিংসের মাঝপথে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ দল। সেটাকে কাজে লাগিয়ে আফগানিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দেওয়ার প্রত্যাশা থাকবে তাদের।
১০ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮৭ রান। ওপেনার তানজিদ ক্রিজে আছেন ২২ বলে ৪৭ রানে। তার সঙ্গী অধিনায়ক লিটন দাস খেলছেন ১০ বলে ৯ রানে।
আক্রমণে এসেই সাইফকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন রশিদ
সপ্তম ওভারে আক্রমণে এলেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান। এই লেগ স্পিনার চতুর্থ বলেই ভাঙলেন বাংলাদেশের ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটি। গুগলিতে বোল্ড হয়ে গেলেন ওপেনার সাইফ হাসান। ২৮ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় তিনি করলেন ৩০ রান।
মূলত, উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন এনে সফল হলো বাংলাদেশ দল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে এটি তাদের সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটি। গত জুনে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তানজিদ ও পারভেজ হোসেন ইমন যোগ করেছিলেন ১১০ রান।
৭ ওভার শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬৪ রান। ক্রিজে তানজিদের সঙ্গী অধিনায়ক লিটন দাস।
সাইফ-তানজিদের ব্যাটে বাংলাদেশের উড়ন্ত শুরু

পারভেজ হোসেন ইমনের জায়গায় সুযোগ পাওয়া সাইফ হাসান ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পেল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে তাদের রান বিনা উইকেটে ৫৯। দুই ওপেনারের জুটিতে পঞ্চাশ পূর্ণ হলো ৩৪ বলে।
আফগানিস্তানের স্পিনার আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফরের করা ষষ্ঠ ওভারে বাংলাদেশ তুলল ১৯ রান। তৃতীয় ও শেষ বলে তানজিদ হাঁকালেন ছক্কা। প্রথমটি ওয়াইড লন-অন দিয়ে, পরেরটি ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে।
ক্রিজে সাইফ আছেন ২৪ বলে ২৬ রানে। বিস্ফোরক রূপে থাকা তানজিদ খেলছেন ১২ বলে ৩২ রানে।
বাংলাদেশের প্রথম ছক্কা সাইফের
চতুর্থ ওভারে বোলিং আক্রমণে পরিবর্তন আনল আফগানিস্তান। হাত ঘুরাতে এলেন স্পিনার আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর। তার চতুর্থ বলটিতে প্রথম ছক্কা পেল বাংলাদেশ দল। গজনফরের মাথার ওপর দিয়ে বল সীমানার বাইরে পাঠালেন সাইফ। ৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ৩২।
আম্পায়ার্স কলে বাঁচলেন তানজিদ
ভাগ্যের ছোঁয়ায় তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে টানা চার পেলেন তানজিদ হাসান। দ্বিতীয় ডেলিভারিতে আউটই হতে পারতেন তিনি! স্লিপে ক্যাচ গেলেও ভুল বোঝাবুঝিতে উইকেটরক্ষক ও প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডারের কেউই তা নেওয়ার চেষ্টা করলেন না।
চতুর্থ বলে তার বিপক্ষে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করে আম্পায়ারের সাড়া না পাওয়ায় রিভিউ নিল আফগানিস্তান। আবারও ভাগ্য সহায়তা করল বাংলাদেশের ওপেনারকে। বল ট্র্যাকিং অনুসারে, ফজলহক ফারুকির বল স্টাম্পের ওপরের অংশে আঘাত করলেও আম্পায়ার্স কলের সুবাদে বেঁচে গেলেন তিনি।
ঘটনাবহুল ওভারটির শেষ দুটি বলে লং-অন দিয়ে ফের টানা চার মারলেন তানজিদ। সব মিলিয়ে এলো ১৬ রান। ৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়াল বিনা উইকেটে ২৪ রান।
জীবন পেলেন সাইফ

হাঁসফাঁস করতে করতে প্রথম চারটি বল ডট। আফগানিস্তানের পেসার ফজলহক ফারুকির করা প্রথম ওভারের পঞ্চম বলটি সজোরে ড্রাইভ করলেন ওপেনিংয়ে নামা সাইফ হাসান। এক্সট্রা কভারে থাকা আজমতউল্লাহ ওমরজাই ডাইভ দিয়ে হাতে বল ছোঁয়ালেও মুঠোয় নিতে পারলেন না। ক্যাচটি অবশ্য ভীষণ দুরূহ ছিল।
ব্যক্তিগত শূন্য রানে জীবন পেলেন সাইফ। উল্টো ক্যাচ হাতছাড়া হওয়ার সুযোগে নিলেন সিঙ্গেল। তার পাশাপাশি রানের খাতা খুলল বাংলাদেশ দল। ১ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩ রান।
বাংলাদেশের ২০০তম টি-টোয়েন্টি
নবম দল হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে বেশি ২৭৪টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছে পাকিস্তান। বাকিরা হলো অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আফগানিস্তানের একাদশ অপরিবর্তিত
আফগানিস্তানের একাদশে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তারা মাঠে নামছে চার স্পিনার নিয়ে। অধিনায়ক রশিদ খানের সঙ্গে আছেন নুর আহমেদ, আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর ও মোহাম্মদ নবি।
আফগানিস্তানের একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, সেদিকউল্লাহ আতাল, করিম জানাত, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবি, গুলবদিন নাইব, নুর আহমেদ, ফজলহক ফারুকি ও আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর।
বাংলাদেশের একাদশে চারটি পরিবর্তন

বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন এসেছে চারটি। প্রথম ম্যাচে খেলার পর দ্বিতীয় ম্যাচে না থাকা তাসকিন আহমেদ ফিরেছেন। আর এবারের এশিয়া কাপে টাইগারদের হয়ে প্রথমবারের মতো খেলতে নামছেন সাইফ হাসান, নুরুল হাসান সোহান ও নাসুম আহমেদ। বাদ পড়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন, শেখ মেহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।
বাংলাদেশের একাদশ: তানজিদ হাসান, সাইফ হাসান, লিটন দাস (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টস জিতলেন লিটন দাস। বাংলাদেশের অধিনায়ক নিলেন আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে।
টসের সময় লিটন বললেন, 'আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি প্রথমে ব্যাট করার। পুরো দল এই ম্যাচকে ঘিরে রোমাঞ্চিত। কারণ আমাদের অবশ্যই এটি জিততে হবে। পিচ কিছুটা ধীরগতির মনে হচ্ছে। তাই (আগে ব্যাট করে) ১৬০ রান করলে তা ভালো স্কোর হবে।'
আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খানও টস জিতলে ব্যাটিংই বেছে নিতেন, 'আমরাও প্রথমে ব্যাট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এটি সত্যিই তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।'
বাংলাদেশের জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ
এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২। হংকংয়ের সঙ্গে জয়ের পর শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গেছে তারা। 'বি' গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে টাইগারদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।
সুপার ফোরের আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দলের বিকল্প নেই জয়ের। হারলেই বেজে যাবে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের ঘণ্টা। তবে জিতলেও তাদের পরের পর্বে যাওয়া নিশ্চিত নয়। কারণ, নেট রান রেটে বাংলাদেশ (-০.৬৫০) অনেক পিছিয়ে আছে।
আফগানদের বিপক্ষে জয় পেলেও বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে 'বি' গ্রুপের শেষ ম্যাচের ফলের দিকে। আগামী বৃহস্পতিবার ওই ম্যাচে লড়বে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। গ্রুপের তিন দলের পয়েন্টই সমান ৪ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটা হলে বিবেচনায় আসবে নেট রান রেট।
দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই জিতে শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট ৪। এক ম্যাচ খেলা আফগানিস্তানের অর্জন ২ পয়েন্ট। নেট রান রেটে লঙ্কান (+১.৫৪৬) ও আফগানরা (+৪.৭০০) অনেক এগিয়ে আছে বাংলাদেশের চেয়ে।
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান— এই গ্রুপ থেকে এই তিন দল টিকে আছে সুপার ফোরে ওঠার লড়াইয়ে। তিন ম্যাচের সবকটিতে হেরে ইতোমধ্যে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছে গ্রুপটির আরেক দল হংকং।
Comments