এশিয়া কাপ

৩৩ রানে ৯ উইকেট হারাল পাকিস্তান, ভারত পেল ১৪৭ রানের লক্ষ্য

ছবি: এএফপি

ফখর জামানকে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দারুণ জুটি গড়লেন সাহিবজাদা ফারহান। কিন্তু দুই ওপেনারের দেওয়া শুরুর শক্ত ভিত কাজে লাগাতে পারল না পাকিস্তান। চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়িয়ে কুলদীপ যাদবের নেতৃত্বে ভারতের তিন স্পিনার উঠলেন তেতে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের রীতিমতো কোণঠাসা করে অল্পতে গুটিয়ে দিল তারা।

প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। দুবাইতে রোববার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বড় উদ্বোধনী জুটির পরও চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায়নি সালমান আগার দল। মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে তারা। শেষ পর্যন্ত পুরো ২০ ওভারও টিকতে পারেনি পাকিস্তান। ৫ বল বাকি থাকতে তারা অলআউট হয় ১৪৬ রানে।

৪ ওভারে ৩০ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার কুলদীপ। অথচ খরুচে বোলিংয়ে প্রথম ২ ওভারে ২৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। এই বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার ১৭তম ওভারেই শিকার করেন ৩ উইকেট। সাজঘরে ফেরান পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান, শাহিন আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফকে। দুটি করে উইকেট পান বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল, রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও ডানহাতি পেসার জসপ্রিত বুমরাহ।

এক পর্যায়ে, ১২.৪ ওভারে পাকিস্তানের রান ছিল ১ উইকেটে ১১৩। এরপর ভারতের স্পিনারদের দাপটের কোনো প্রত্যুত্তর জানা ছিল না তাদের। ৩৯ বলে মধ্যে ৩৩ রান যোগ করতে তারা হারায় বাকি ৯ উইকেট। স্কোরবোর্ডে ২০০ রান জমা করার আশা জাগিয়েও পাকিস্তান দেড়শও ছুঁতে না পারায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য সহজ লক্ষ্য পেয়েছে ভারত। ফলে ম্যাচের মাঝপথেই তাদের দিকে ভারী জয়ের পাল্লা।

পাকিস্তানের কেবল টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার পৌঁছান দুই অঙ্কে। ওপেনার ফারহান সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন ৩৮ বল খেলে। তার ব্যাট থেকে আসে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা। আরেক ওপেনার ফখর ১৫তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ বলে ৪৬ রান। তিনে নামা সাইম আইয়ুব করেন ১১ বলে ১৪ রান। বাকি আট ব্যাটারের সবাই এক অঙ্কের ঘরে থেকে মাঠ ছাড়েন। যথাক্রমে ০, ৮, ১, ৬, ০, ০, ৬, ১— ছিল তাদের স্কোর।

প্রথম ৬ ওভারে পাকিস্তানকে খুব বেশি রান করতে দেননি ভারতের বোলাররা। তবে কোনো উইকেটও তুলে নিতে পারেননি তারা। বিনা উইকেটে পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে আনে ৪৫ রান। পাওয়ার প্লের পর রানের গতি বাড়ায় তারা। এর পেছনে মূল কৃতিত্ব ডানহাতি ফারহানের। বাঁহাতি ফখর দেখেশুনে খেললেও তিনি নিয়মিত আনতে থাকেন বাউন্ডারি।

চড়াও হয়ে ফারহান হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩৫ বলে। টি-টোয়েন্টিতে এটি তার পঞ্চম পঞ্চাশ, ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয়। তার সঙ্গে ফখরের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৮ বলে ৮৪ রান। ফারহানকে ক্যাচ বানিয়ে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করেন বরুণ। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ১৯ বলে ২৯ রান আনেন ফখর ও সাইম। সেখানেই শেষ! এরপর পাকিস্তানের ব্যাটাররা ছিলেন স্রেফ আসা-যাওয়ার মিছিলে।

Comments