বিপিএল ফাইনাল: নজর থাকবে যাদের ওপর

ছবি: বিসিবি

প্রচুর বিতর্ক আর সমালোচনার সঙ্গে কিছু ইতিবাচক দিক পেরিয়ে বিপিএল শেষের পথে। একাদশ আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংস। বরিশাল মাঠে নামবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে। অন্যদিকে, চিটাগং রয়েছে প্রথম শিরোপার খোঁজে। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হবে শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায়।

ফাইনালে ব্যবধান গড়ে দিয়ে ট্রফি নিজেদের করে নেওয়ার দক্ষতাসম্পন্ন খেলোয়াড় রয়েছে দুই দলে। কয়েক জনের ওপর থাকবে বাড়তি নজর। শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ের আগে তাদেরকে দেখে নেওয়া যাক:

বরিশাল

তামিম ইকবাল: এবারের আসরে বরিশালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অধিনায়ক তামিম। ১৩ ম্যাচে ১২৩.৩৬ স্ট্রাইক রেট ও ৩৫.৯০ গড়ে তার রান ৩৫৯। তার ব্যাট থেকে এসেছে তিনটি হাফসেঞ্চুরি। চিটাগংয়ের বিপক্ষে খেলা আগের তিনটি ম্যাচে অবশ্য তার ব্যাট হাসেনি। লিগ পর্বে ৮ ও ০ রানে আউট হওয়ার পর প্রথম কোয়ালিফায়ারে অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনার করতে পারেন ২৯ রান।

ডাভিড মালান: ইংলিশ টপ অর্ডার ব্যাটার ৮ ম্যাচ খেলে তিনটি ফিফটির সাহায্যে করেছেন ৩১৫ রান। তার গড় (৭৮.৭৫) ও স্ট্রাইক রেট (১৫৭.৫০) দুটোই আলাদাভাবে চোখে পড়ার মতো। বরিশালের হয়ে রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তামিমের পরেই মালানের অবস্থান। চিটাগংয়ের বিপক্ষে লিগ পর্বে ৩৪ বলে ৬৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

কাইল মেয়ার্স: ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার মেয়ার্সের ব্যাটে-বলে ভালো কেটেছে এবারের বিপিএল। ৬ ম্যাচে তিনি ৫৪.৩৩ গড় ও অতিমানবীয় ১৮১.১১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৬৩ রান। দুটি হাফসেঞ্চুরি আছে তার নামের পাশে। পাশাপাশি শিকার করেছেন ৫ উইকেট। প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগংয়ের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সুযোগ না মিললেও আঁটসাঁট বোলিংয়ে ২৭ রানে খরচায় ২ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ: বরিশালের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের কারণে চলতি আসরে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর ক্রিজে যাওয়ার সুযোগ মিলেছে কমই। ১৩ ম্যাচের ৭ ইনিংসে তার রান ১৯৯। গড় ৩৯.৮০, স্ট্রাইক রেট ১৪৯.৬২। দুটি হাফসেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাট থেকে। চিটাগংয়ের বিপক্ষে লিগ পর্বে ২৬ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

চিটাগং

খালেদ আহমেদ: ১৩ ম্যাচে ২০.১০ গড় ও ৮.৫৮ ইকোনমিতে ২০ উইকেট নিয়ে এবারের বিপিএলে চিটাগংয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি খালেদ। বরিশালের পক্ষে খেলা আগের তিন ম্যাচে ডানহাতি পেসার পেয়েছেন ৪ উইকেট। এই আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট দখলের কীর্তির হাতছানিও রয়েছে খালেদের সামনে। সেজন্য ফাইনালে করে দেখাতে হবে অসাধারণ কিছু। ২৫ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে আছেন দুর্বার রাজশাহীর তাসকিন আহমেদ।

আলিস আল ইসলাম: ১৩ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে চিটাগংয়ের উইকেটশিকারিদের তালিকায় খালেদের পরেই আলিস। ডানহাতি স্পিনারের গড় (২১.০৬) ও ইকোনমি (৬.৩২) দারুণ। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শেষ বলের নাটকীয়তায় চিটাগংকে জিতিয়ে ফাইনালে উঠিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে চার ওভারে মাত্র ১৪ রানে ১ উইকেট নেওয়ার পর ৭ বলে ১৭ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত ছিলেন।

খাওয়াজা নাফায়ে: পাকিস্তানি ওপেনার নাফায়ে ৪ ম্যাচে করেছেন ১৩৫ রান। তার গড় ৩৩.৭৫ ও স্ট্রাইক রেট ১৩৯.১৭। ছন্দে থাকা ব্যাটার দুটি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৪৬ বলে ৫৭ রানের ইনিংস আসে তার ব্যাট থেকে।

শামীম হোসেন পাটোয়ারী: এবারের বিপিএলের শীর্ষ ১০ রান সংগ্রাহকের মধ্যে শামীমের স্ট্রাইক রেটই সেরা। ১৪ ম্যাচে ১৫৯.৮১ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৩৫০। দুটি হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি। বরিশালের বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ৪৭ বলে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংস এসেছিল তার ব্যাট থেকে। এর আগে লিগ পর্বেও একই প্রতিপক্ষের বিপরীতে তিনি করেছিলেন ১২ বলে অপরাজিত ৩০ রান।

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago