বুমরাহর স্ত্রীকে মিরাজ বললেন, ‘সে ভীষণ বিপজ্জনক’

ছবি: এএফপি (সম্পাদিত)

চোটের কারণে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারছেন না জাসপ্রিত বুমরাহ। তবে টুর্নামেন্ট চলাকালীন ভারতের তারকা পেসারের নাম উঠে এলো তার স্ত্রী সঞ্জনা গণেশন ও বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের আলাপচারিতায়। বুমরাহকে নিয়ে যেমন প্রশংসা ঝরল মিরাজের কণ্ঠে, তেমন ফুটে উঠল বুমরাহর মুখোমুখি হতে না হওয়ার স্বস্তি।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছোট ছোট ভিডিও পোস্ট করছে আইসিসি। গতকাল বুধবার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায় মিরাজকে। তার সঙ্গে আলাপে ছিলেন বুমরাহর স্ত্রী ও ক্রীড়া সঞ্চালক সঞ্জনা।

শুরুতেই বুমরাহকে নিয়ে ২৭ বছর বয়সী মিরাজ বলেন, 'সে খুবই ভিন্ন রকমের একজন বোলার, খুবই ভিন্ন রকমের। আর ভীষণ বিপজ্জনক।' সঞ্জনা তখন মনে করিয়ে দেন, 'সে কিন্তু এখানে (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে) খেলছে না।'

বাংলাদেশের জার্সিতে ১০৩ ওয়ানডে খেলা মিরাজ জবাব দেন, 'আমি জানি। আমরা সেকারণে খুবই খুশি, খুবই (হাসি)। সে ভীষণ বিপজ্জনক।' এরপর তিনি বুমরাহর শারীরিক অবস্থার বর্তমান খবর জানতে চান সঞ্জনার কাছে, 'সে এখন কেমন আছে? সে কি সুস্থ হয়েছে?'

২০২১ সালে বুমরাহর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া সঞ্জনার কাছ থেকে উত্তর আসে, 'হ্যাঁ, সে সুস্থ আছে। সে এখন (ভারতের) জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ) অনুশীলন করছে।'

ওয়ানডেতে ১৫৯৯ রান ও ১১০ উইকেটের মালিক মিরাজ তারপর বলেন, 'সবাই তাকে সমীহ করে, প্রত্যেক ব্যাটার। (গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে) কানপুর টেস্টে আমি দুবার তার বিপরীতে আউট হয়েছি। সে অনেক উন্নতি করেছে। সে দুই দিকেই সুইং করাতে পারে।'

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ ও ভারত মুখোমুখি হবে। ভারত পুরো টুর্নামেন্টে পাবে না তাদের বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র বুমরাহকে। নিঃসন্দেহে তাদের জন্য এটি বড় ধাক্কা।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাঁচ টেস্টের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষদিকে পিঠের নিচের অংশের চোটে পড়েন বুমরাহ। ওই সফরে প্রচুর বোলিংয়ের কারণে তার শরীরের ওপর ভীষণ ধকল যায়। সেকারণে গত জানুয়ারির শুরুতে সিডনিতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্টের শেষদিনে বল করতে পারেননি তিনি। ওই চোটই শেষ করে দিয়েছে তার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা।

Comments

The Daily Star  | English
RMG violence

Violence in Bangladesh’s RMG sector: Disposable lives, dispensable labour

Can we imagine and construct a political system that refuses to subordinate human dignity to the demands of global accumulation?

1d ago