ডাকসু নির্বাচন: শপথ নিলেন ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থীরা, ৮ অঙ্গীকার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রদলের শপথ অনুষ্ঠান। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা শপথ নিয়েছেন। নির্বাচিত হলে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ তৈরি এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে গণতান্ত্রিক আচরণ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শপথ নেন তারা।

আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সামনের বটতলায় এই শপথ অনুষ্ঠান হয়। শপথবাক্য পাঠ করান ছাত্রদল মনোনীত সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান। এ সময় ডাকসু ও বিভিন্ন হল সংসদে ছাত্রদলের পূর্ণ প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য গণরুম সংস্কৃতি, গেস্টরুম নির্যাতন, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাধ্য করা এবং ভিন্নমতের ওপর নিপীড়ন ফিরে আসতে না দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়।

দ্বিতীয় অঙ্গীকারে দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার কথা বলা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের রক্তঝরা দিনগুলোতে যেভাবে আমরা বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম এবং আমাদের অগ্রজেরা যেভাবে ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৪৭ সালের দেশভাগের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বা জনগণের মুক্তির পথে যেকোনো কালো শক্তির বাধা প্রতিহত করতে আমরা দৃঢ় থাকব।'

অন্যান্য অঙ্গীকারের মধ্যে রয়েছে—ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ আবাসন, স্বাস্থ্যসেবা, সম-অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে একটি নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করা; সব শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিক হলে বৈধ আসন, সাশ্রয়ী মূল্যে পুষ্টিকর খাবার, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা, পরিচ্ছন্নতা, কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সহজলভ্য পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করা।

সাইবার বুলিং, গুজব, অপতথ্য ও ভুয়া সংবাদের মতো অনলাইন হুমকি থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দেওয়া এবং শিক্ষা, গবেষণা ও অ্যাকাডেমিক পরিবেশের মানোন্নয়ন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের প্রসার এবং ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ বৃদ্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আধুনিক ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার কথাও বলা হয়েছে অঙ্গীকারে।

সপ্তম অঙ্গীকারে ডাকসুর অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশে শিষ্টাচার, সৌজন্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। শেষে এই শপথের প্রতিটি অঙ্গীকার সমুন্নত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Water lily tug-of-war continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June..Despite several exchanges of letters and multiple meetings between NCP and the chief election commissioner, other

2h ago