জাকসু নির্বাচনে প্রার্থিতা পুনর্বহাল চেয়ে হাইকোর্টে অমর্ত্য রায়ের রিট

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে প্রার্থিতা পুনর্বহালের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করেছেন 'সম্প্রীতির ঐক্য' প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী অমর্ত্য রায়।
আজ সোমবার দুপুরে তার পক্ষে আইনজীবী মানজুর আল মতিন এ রিট দায়ের করেন।
আইনজীবী নিজেই দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার রিটের শুনানি হতে পারে বলে তিনি জানান।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের ৭ দিন পর গত শনিবার অমর্ত্যর প্রার্থিতা বাতিল করে জাকসু নির্বাচন কমিশন।
এ সিদ্ধান্তকে অবৈধ দাবি করে প্রার্থিতা পুনর্বহালের দাবিতে গতকাল রোববার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও জাকসু নির্বাচন কমিশনকে আইনি নোটিশ পাঠান অমর্ত্য।
আজ রিট দায়ের পর আইনজীবী মানজুর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, 'চূড়ান্ত ভোটার ও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, যাচাই–বাছাই এবং আপিল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর হঠাৎ করেই অমর্ত্যর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তাকে কোনো শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়নি, কোনো চিঠিও দেওয়া হয়নি। এসব প্রক্রিয়া উপেক্ষা করেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে। আমরা আদালতের কাছে প্রার্থিতা পুনর্বহালের আবেদন জানিয়েছি, নির্বাচন স্থগিত চাইনি।'
তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অমর্ত্যর ব্যক্তিগত তথ্য—তিনি কোন পরীক্ষায় কী ফল করেছেন—ফলাও করে তুলে ধরেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কীভাবে একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রচারণায় নামতে পারে তা আমার বোধগম্য নয়।'
যোগাযোগ করা হলে অমর্ত্য রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে কোনো রিট করা হয়নি। রিট করা হয়েছে অনিয়মিতান্ত্রিকভাবে আমার প্রার্থিতা বাতিলের স্থগিতাদেশ চেয়ে। জাকসু নির্বাচন স্থগিত চাওয়ার যে রিটের কথা শোনা যাচ্ছিল সেটা গুজব। কোর্টে পৌঁছানোর আগেই শুনি আমি রিট করে ফেলেছি। এরকম কোনো সংবাদ উপস্থাপন কাম্য না। আমি কোনোভাবেই চাই না এই জাকসু নির্বাচন পিছিয়ে যাক। এত বছর ধরে যে গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস আমরা চেয়ে আসছি সেটার রায় ১১ তারিখে হবে।'
উল্লেখ্য, জাকসু নির্বাচন কমিশন গত ১৭ আগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা, ২৫ আগস্ট চূড়ান্ত ভোটার তালিকা এবং ২৯ আগস্ট চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সবগুলো তালিকায়ই অমর্ত্যের নাম ছিল।
Comments