জাকসু

এটা নির্বাচন নাকি শিবিরকে জেতানোর প্রশাসনিক পাঁয়তারা: সম্প্রীতির ঐক্য

জাকসু নির্বাচনে কারসাজির অভিযোগ
সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে প্রশাসন কারসাজি করে ছাত্রশিবিরকে বিজয়ী করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে 'সম্প্রীতির ঐক্য' প্যানেল।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে মুরাদ চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্যানেলের সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী নূর-এ-তামীম স্রোত এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, 'নজরুল হলে ২ ঘণ্টায় যত ভোট কাস্ট হয়েছে সে সংখ্যা জানা যায়নি। কোন হলে ঠিক কতগুলো ভোট কাস্ট হয়েছে এবং কতগুলো ভোট গণনা হবে, তা জানা যাবে না।'

'অনার্সের ভোটার লিস্টে কারও ছবি নেই। ছবি ছাড়াই ভোট নিচ্ছেন। হাতে যে দাগ দেওয়ার কথা, সে দাগও তারা দিচ্ছেন না। কেউ যদি অন্য কারও কার্ড নিয়ে ভোট দিতে চায়, তাও তিনি পারবেন। তাজউদ্দিন হলে তিনবার ভোট বন্ধ হয়েছে। আসলে ভোট যে সুষ্ঠু হচ্ছে না এটা প্রমাণিত,' বলেন তিনি।

সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের এই প্রার্থী বলেন, 'সব প্যানেলের এগুলো নিয়ে আলাপ করা উচিত, সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আদৌ এটা কি ইলেকশন হচ্ছে, নাকি শিবিরকে জেতানোর একটা প্রশাসনিক পাঁয়তারা হচ্ছে।'

এই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শরণ এহসান বলেন, 'বিস্মিত হয়ে দেখছি সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে নানা অনিয়ম-অসংগতি চলছে। আমাদের প্যানেলের ভিপি প্রার্থীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভোট থেকে বাইরে রাখা হয়েছে।'

'অনিয়মের ধারাবাহিকতায় আজ ভোটগ্রহণের চূড়ান্ত অনিয়ম এবং প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনেক প্রার্থী ডোপ টেস্ট না করেও প্রার্থী হয়েছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই। আমরা সকাল থেকে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে সকাল থেকেই নানান ধরনের অভিযোগ পাওয়া শুরু করেছি,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'রোকেয়া হল, কাজী নজরুল ইসলাম হলসহ বিভিন্ন হলে সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের পোলিং এজেন্টদের দীর্ঘ সময় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের এমন আচরণ ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। সকাল থেকে অধিকাংশ হলেই ভোটারদের হাতে অমোচনীয় কালির মার্ক দেওয়া হয়নি। আমরা মনে করি এরকম লুকোচুরি আদতে নির্বাচনের স্বচ্ছতাকেই ভয়াবহভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।'

'প্রায় প্রতিটি হলেই ছাত্রশিবির ও ছাত্রী সংস্থার কর্মীরা নিজ প্রার্থীদের নাম সম্বলিত চিরকুট বিলি করেছেন। যার তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেছেন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা। ইতোমধ্যেই জাহানারা ইমাম হলে এক শিক্ষার্থীকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে,' বলেন তিনি। 

Comments

The Daily Star  | English

‘Vote counting could take the whole night’

Jucsu CEC says to speed up the process, more people have been involved

35m ago