৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন, ২ দিন পর ফল ঘোষণা

ছবি: পলাশ খান/স্টার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা চলছে।

আজ শনিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশন ফল ঘোষণা শুরু করে।

প্রথমে হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হচ্ছে, এরপর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে।

এর আগে অনিয়ম-অভিযোগ-বর্জনের মধ্য দিয়ে জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। অধিকাংশ প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকসু নির্বাচনে নানা অব্যবস্থাপনা ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন।

ব্যালট পেপার নিয়েও অভিযোগ ওঠে। ছাত্রদলের অভিযোগ, জামায়াতের প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যালট ছাপানো হয়েছে। পাল্টা অভিযোগ তুলে শিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থীর দাবি করেন, জামায়াত নয়, বরং বিএনপি সমর্থকের প্রতিষ্ঠানে ব্যালট ছাপানো হয়েছে।

'পুরো প্রক্রিয়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পূর্বপরিকল্পিতভাবে কারচুপির জন্য সাজানো হয়েছে'—অভিযোগ তুলে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত তিন শিক্ষক দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতার মৃত্যু নিয়েও তাদের একজন।

শুক্রবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার।

তিনি জানান, নির্বাচন চলাকালে আসা অভিযোগগুলোর সুরাহা না করেই ভোট গণনা চালিয়ে যাওয়ায় তিনি নির্বাচন কমিশনের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করছেন।

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরও ফলাফল না পাওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রার্থীরা।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ হলে অনুষ্ঠিত হয় জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

প্রথমে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা হবে বলে জানানো হলেও, মেশিন সরবরাহ নিয়ে ছাত্রদল ও শিবিরের পারস্পরিক দোষারোপের পর হাতে ব্যালট গোনার সিদ্ধান্ত হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে ব্যালট বাক্স সিনেট ভবনে নেওয়া হয় এবং সব প্রস্তুতি শেষে রাত ১০টার পর শুরু হয় গণনা।

নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৭৪৩ জন নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন বলে জানায় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ।

জাকসুতে ২৫টি এবং হল সংসদে ১৫টি পদ রয়েছে।

এর আগে সর্বশেষ জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯২ সালে।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

25m ago