অনিয়ম-অভিযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হলো জাকসুর ভোটগ্রহণ, গণনা শুরু ৭টায়

জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে গণনার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ব্যালট বাক্স। ছবি: স্টার

অনিয়ম-অভিযোগ-বর্জনের মধ্য দিয়ে অবশেষে শেষ হয়েছে জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। সন্ধ্যায় ৭টায় ভোট গণনা শুরু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়। 

এদিকে, দিনভরই নানা অব্যবস্থাপনা ও অভিযোগ ছিল জাকসু নির্বাচনকে ঘিরে।

ভোট কারচুপির অভিযোগে বিকেলের দিকে ভোট বর্জন করে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ও বামপন্থীদের একটি প্যানেল 'সংশপ্তক'। 

নির্বাচনে একটি পক্ষকে জিতিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ এনেছে আরেকটি প্যানেল 'সম্প্রীতির ঐক্য'।

জাকসু নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানো নিয়েও উঠেছে অভিযোগ। ছাত্রদলের অভিযোগ, জামায়াতের প্রতিষ্ঠান থেকে ছাপা হয়েছে ব্যালট। অপরদিকে শিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থীর দাবি, জামায়াত নয়, বরং বিএনপি সমর্থকের প্রতিষ্ঠানে ছাপা হয়েছে ব্যালট।   

কেন্দ্রের বাইরে স্ক্রিনে জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: স্টার

ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অন্তত ৩ শিক্ষক। তাদের অভিযোগ, পুরো প্রক্রিয়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পূর্বপরিকল্পিতভাবে কারচুপির জন্য সাজানো হয়েছে।

অনিয়মের মধ্যে পোলিং এজেন্ট না থাকা, অমোচনীয় কালির দাগ না দেওয়া, ভোট জালিয়াতির ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে।

শহীদ রফিক-জব্বার হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ২০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে গিয়ে দেখি আমার ভোট আগেই অন্য কেউ দিয়ে গেছে। জীবনের প্রথম ভোট এভাবে নষ্ট হবে, আমি কোনোদিন ভাবিনি।'

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই হলের পোলিং অফিসার মো. জাকির হোসেন এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, 'সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে রবিউল নামে এক শিক্ষার্থীর ভোট দুপুর আড়াইটার দিকে অন্য কেউ ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে দিয়ে গেছে। পরে রবিউল যখন তার আসল আইডি কার্ড নিয়ে ভোট দিতে আসেন, তখন সেটি যাচাই করে সত্যতা নিশ্চিত হই। আমরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।' 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের মোট ২২৪টি বুথে সকাল ৯টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৯১৯ জন। মোট ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৮ জন প্রার্থী। নির্বাচনে অংশ নেয় মোট আটটি প্যানেল, এর মধ্যে ছিল বাম সংগঠন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেল।

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে সবশেষ জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।  

Comments

The Daily Star  | English

‘Vote counting could take the whole night’

Jucsu CEC says to speed up the process, more people have been involved

35m ago