ছাত্রদল-শিবিরের আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে ছাত্রদল এবং ইসলামী ছাত্রশিবির।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত 'সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট'।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, 'ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন, আরবি বিভাগের ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের বাইরে প্রচার করছেন এবং রাকসুর ভোটার নন এমন ব্যক্তিদের প্রচারে যুক্ত করছেন।
এ বিষয়ে 'সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট' প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী ফাহিম রেজা বলেন, 'এর আগেও ছাত্রদল বিভিন্নভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু আমরা তখন কোনো লিখিত অভিযোগ দেইনি। আমরা চাই রাকসু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক এবং এখানে যেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়। এজন্য আজ এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেছি।'
তবে এসব অভিযোগ 'ভিত্তিহীন ও হাস্যকর' বলে দাবি করেছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল 'ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম'। তারাও বিকেলে নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাল্টা অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
তাদের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, 'ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত 'সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট' প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকরা বিভিন্ন হল এবং বিভাগে ভোটারদের খাবার ও বিশেষ উপহার দিচ্ছেন, যা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডকে নষ্ট করছে। নির্বাচনের আগে ভোটারদের উপহার দেওয়া রাকসু নির্বাচনের আচরণবিধির পরিপন্থী। এতে নির্বাচনের স্বাভাবিক পরিবেশ প্রভাবিত হচ্ছে।'
অভিযোগ প্রসঙ্গে 'ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম' প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর বলেন, 'ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের করা অভিযোগগুলো একেবারেই হাস্যকর। কেননা তারা যেসব অভিযোগ তুলেছে, সেসব বিষয়ে আমরা নিজেরাই কিছু জানি না। আসলে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালাতে গিয়েই তারা এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। এতে উল্টো তারাই শিক্ষার্থীদের কাছে নিন্দিত হচ্ছেন।'
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, আজ ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির উভয় প্যানেল আমাদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। তারা কয়েকটি অভিযোগ করেছে। এর আগে আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। আজ তারা বিভিন্ন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিষয়গুলো কমিশনের অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


Comments