ছাত্রদল নেতা নয়ন নিহতের প্রতিবাদী মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১৫

ফেনী, পুলিশ, লাঠিচার্জ,
মিছিলটি শহীদ ইসলামপুর রোডে প্রবেশ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জে সংগঠনটির অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে গতকাল পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া নিহতের প্রতিবাদে আজ রোববার বিকেলে ফেনীতে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ছাত্রদল।

সংগঠন সূত্রে জানা যায়, নয়ন হত্যার প্রতিবাদে বিকেলে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। এর নেতৃত্বে ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম।

মোরশেদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে শহীদ ইসলামপুর রোডে প্রবেশ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।'

'এ সময় পুলিশ গুলি ছুঁড়লে পালাতে গিয়ে ও গুলিতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন,' বলেন তিনি।

তার দাবি, পুলিশের হামলায় অন্তত ১৫ নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হয়েছেন।  

তাদের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক মইনুল হাসান পারভেজ, ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক ইয়াছিন আরাফাত, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সদস্য মো. শরিফ ও মো. মারুফ আহত হয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে ফেনী জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল পুলিশের এ হামলার প্রতিবাদ জানান। আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন তারা।

জানতে চাইলে ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল থেকে ভাঙচুর করতে শুরু করে। নিষেধ করায় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে।'

'পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৮ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে এবং তাদের ছত্রভঙ্গ করেছে,' বলেন তিনি।

এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Tug-of-war over water lily continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June.

4h ago