জাপানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটির পিঠা উৎসব

উৎসবে সোসাইটির সদস্যদের তৈরি পিঠার আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

শীতের পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে জাপানে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে প্রবাসীরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটি জাপানের পক্ষ থেকে গতকাল রোববার সাইতামা কেন এর 'ওয়ারাবিশিরিৎসু কিতামাচি কমিউনিটি সেন্টারে' এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

সোসাইটির সভাপতি রাজিব মাহমুদ ইউনুছ উৎসবে আগতদের স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

উৎসবে সোসাইটির ৩২ জন সদস্যের তৈরি চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, পুয়া পিঠা, মুগ পাকন পিঠা, নকশি পিঠা, শামুক পিঠা, পানতোয়া পিঠা, নারকেল পুলি, পাটিসাপটা পিঠা, খাজা, সিমফুল পিঠা, পুলি পিঠা, ম্যারা পিঠা, শিরীশ পিঠা, ঝাল পুলি, ছিট পিঠা, পাতা পিঠা, ঝিনুক পিঠা, পাকান পিঠাসহ বাহারি সব নামের পিঠার আয়োজন ছিল। 

রকমারি সব পিঠার পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের নাস্তা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের ভর্তাসহ মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটি জাপানের পক্ষ থেকে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

পিঠা উৎসবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন লোকজ সংস্কৃতি স্থান পায়। এছাড়াও, ভাষার মাস হওয়ায় পিঠা উৎসবে শহীদ মিনারের রেপ্লিকা শোভা পায়।    

অতিথিরা জানান, এ উৎসবের কারণে গ্রামের পিঠাপুলির ঘ্রাণ-স্বাদ নিতে পেরেছেন তারা এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে দেশীয় খাদ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারছেন।

পিঠা উৎসবে সোসাইটির পক্ষ থেকে জাপানে বসবাসরত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চারজনকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়। তারা হলেন-ইয়ামাগুচি চন্দন, মীর মোশাররফ, মশিউর রহমান এবং আবদুল হান্নান।  

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৩০ জুন টোকিওর কিতা সিটির তাকিনোগাওয়া বুনকা সেন্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটি জাপানের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

২০২৩ সালের ১৪ মে টোকিওর ইতাবাশি সিটি ফুনাদো হলে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন সোসাইটির নতুন কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

[email protected]

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

1h ago