বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪: বর্ষসেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক

বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এ বর্ষসেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষ ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে ডিএইচএল এক্সপ্রেস বাংলাদেশ ও দ্য ডেইলি স্টারের যৌথভাবে ২৩তম বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পাওয়া সিটি ব্যাংক চার দশকের বেশি সময় ধরে দেশের ব্যাংক খাতের উদ্ভাবনী সক্ষমতার একটি স্তম্ভ।
১৯৮৩ সালে ১২ জন দূরদর্শী উদ্যোক্তার সাহসী পদক্ষেপে জন্ম নেয় দেশের প্রথম বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক সিটি ব্যাংক।
সে বছরের ২৭ মার্চ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ব্যাংকটির প্রথম শাখা উদ্বোধন করা হয়, যার মাধ্যমে দেশের বেসরকারি ব্যাংকিং খাতের যাত্রা শুরু হয়।
সিটি ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসরুর আরেফিন জানান, ২০০৬–০৭ সালে ব্যাংকটির অনাদায়ী ঋণ (এনপিএল) বৃদ্ধি পাচ্ছিল, আমানত প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে গিয়েছিল। সে সময় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে দুজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিনি বলেন, 'এতে সিটি ব্যাংকের দ্বিতীয় প্রজন্মের স্পন্সর পরিচালকদের চোখ খুলে যায় এবং তারা সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।'
৪২ বছরের বেশি সময় ধরে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সিটি ব্যাংকের মোট সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ, আমানত প্রবৃদ্ধি ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ১১ শতাংশ ঋণ ও অগ্রিম বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাংকটি অসাধারণ আর্থিক সক্ষমতা দেখাতে পেরেছে।
ব্যাংকটির বিস্তৃত এজেন্ট ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) অর্থায়ন এবং নারী-কেন্দ্রিক ব্যাংকিংয়ে পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় ছিল সিটি ব্যাংক।
লাভ ও কর প্রদানের ক্ষেত্রেও ব্যাংকগুলোর মধ্যে সিটি ব্যাংক শীর্ষে। ২০২৪ সালে সংরক্ষণ ও কর বাদে ব্যাংকটির লাভ দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৫ কোটি টাকা।
২০২৫ সালের মে পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকটিতে মোট ৭ হাজার ৪০০ জন নিয়মিত কর্মী কাজ করছেন, যারা ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক ও করপোরেট কার্যক্রমে নিয়োজিত।
২০২৪ সাল পর্যন্ত এ ব্যাংকের মোট আমানত ছিল ৫১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা এবং এর বিপরীতে ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ ছিল ৪৪ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা।
Comments