ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকেও পাল্টা জবাব দিলো ইসরায়েল

অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েলের পতাকা। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েলের পতাকা। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

এবার অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন কূটনীতিবিদের ভিসা বাতিল করেছে ইসরায়েল। গত সোমবার ইসরায়েলি নেতার অস্ট্রেলীয় ভিসা বাতিলের জবাবে এই উদ্যোগ নিয়েছে তেল আবিব।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং ফিলিস্তিনে ক্যানবেরার কূটনীতিক প্রতিনিধিদের ভিসা বাতিলের তীব্র সমালোচনা করেন।

কট্টর ডানপন্থি ইসরায়েলি নেতা সিমচা রথম্যান অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি সম্প্রদায় আয়োজিত কয়েকটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখের জন্য ওই দেশে সফর করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় তার ভিসা বাতিল করে ক্যানবেরা। এরপরই এলো ইসরায়েলের 'ইটের বদলে পাটকেলের' জবাব।

সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এরপর থেকেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দিয়েছে দেশটির।

পেনি ওং বলেন, কূটনীতিকদের ভিসা প্রত্যাহার করে ন্যায়সঙ্গত প্রতিক্রিয়া দেখায়নি ইসরায়েল।

'অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় আলোচনা ও কূটনীতির প্রয়োজন এখন সবচেয়ে বেশি। এই পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর সরকার ইসরায়েলকে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। তারা শান্তি প্রতিষ্ঠার আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও দুই রাষ্ট্র সমাধানের অবমাননা করছে', বলেন তিনি।

সিমচা রথম্যানের দল নেতানিয়াহুর জোট সরকারের অন্যতম শরীক। ওই দলের প্রধান মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য বেজালেল স্মৎরিচ।

নেসেটের অধিবেশনে সিমচা রথম্যান ও ইতামার বেনগভি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
নেসেটের অধিবেশনে সিমচা রথম্যান ও ইতামার বেনগভি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা'আর জানান, তিনি ফিলিস্তিনে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিদের ভিসা বাতিল করেছেন।

উল্লেখ্য, রামাল্লায় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অবস্থান। সেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা কূটনীতিক যোগাযোগ রক্ষা করেন। পশ্চিম তীরের রামাল্লায় যেতে হলে ইসরায়েলি ভিসা নিয়েই যেতে হয়।

গিডিয়ন সা'আর আরও বলেন, 'আমি ক্যানবেরায় নিযুক্ত ইসরায়েলি দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছি তারা যেন অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা আনুষ্ঠানিক ভিসা আবেদনগুলো সতর্কতার সঙ্গে যাচাই-বাছাই করে দেখে।'

'অস্ট্রেলিয়ার "ফিলিস্তিন রাষ্ট্র"র স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ও বেশ কয়েকজন ইসরায়েলিকে ভিসা না দেওয়ার অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হলো', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

7h ago