‘মেরুদণ্ড সোজা কর, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর’—অকল্যান্ডে বিক্ষোভ

এটি গাজা যুদ্ধের পর নিউজিল্যান্ডে সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ। ছবি: রয়টার্স

নিউজিল্যান্ডের প্রধান শহর অকল্যান্ডে হাজারো বিক্ষোভকারীর কণ্ঠে উঠেছে 'মেরুদণ্ড সোজা কর, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর' স্লোগান। তারা আরও বলছেন—'গণহত্যাকে স্বাভাবিক করা যাবে না'।

আজ শনিবার নিউজিল্যান্ডের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম রেডিও নিউজিল্যান্ড-এর বরাত দিয়ে সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আয়োজকদের হিসাবে 'মার্চ ফর হিউম্যানিটি' শিরোনামের এই সমাবেশে আজ স্থানীয় সময় সকালে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। এটি গাজা যুদ্ধের পর নিউজিল্যান্ডে সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ।

তবে, নিউজিল্যান্ডের পুলিশের হিসাবে এই সংখ্যা ২০ হাজার হতে পারে।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের অনেককে ফিলিস্তিনের পতাকা ও ব্যানার-প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা গেছে। কারও কারও হাতে ছিল 'মেরুদণ্ড সোজা কর, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর' এবং 'গণহত্যাকে স্বাভাবিক করা যাবে না'—এমন দাবির প্ল্যাকার্ড।

আয়োজকরা গত মাসে প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসমাবেশ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন 'আওতেরোয়া ফর প্যালেস্টাইন' এর মুখপাত্র ড. আরামা রাতা। আদিবাসী মাউরিরা নিউজিল্যান্ডকে 'আওতেরোয়া' বলেন।

সিডনির হারবার ব্রিজের মতো অকল্যান্ডের প্রধান সেতুটি বন্ধ করতে চেয়েছিলেন আয়োজকরা। কিন্তু, বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা পারেননি।

পুলিশ জানিয়েছে, সমাবেশ থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। সমাবেশ শেষে রাস্তাগুলো চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

সংবাদ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আয়োজকদের দাবি নিউজিল্যান্ড সরকার ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করুক।

গত মাসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও মানবিক সহায়তার সংকটকে 'খুবই ভয়াবহ' হিসেবে অভিহিত করেছেন। দেশটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে।

নিউজিল্যান্ডে প্রায় ১০ হাজার ইহুদি বসবাস করেন। নিউজিল্যান্ড জুইশ কাউন্সিলের মুখপাত্র বেন কেপেস গণমাধ্যমকে বলেছেন, তিনি শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে স্বাগত জানান। তবে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবির নিন্দা করেন।

Comments

The Daily Star  | English
The Costs Of Autonomy Loss of Central Bank

Bangladesh Bank’s lost autonomy has a hefty price

Economists blame rising bad debt, soaring prices and illicit fund flows on central bank’s waning independence

14h ago