যে কারণে ইসরায়েলে ২০০ সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে মার্কিন সেনা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলে সরকার মন্ত্রিসভার ভোটের পর গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি-সংক্রান্ত চুক্তিতে অনুমোদন করেছে। এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার  প্রথম পর্যায় মাত্র। এখনো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চূড়ান্ত করা বাকি।

এমন পরিস্থিতিতে চুক্তি কার্যকরসহ অন্যান্য বিষয় পর্যবেক্ষণের জন্য ইসরায়েলে ২০০ সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।  

বৃহস্পতিবার কর্মকর্তারা জানান, অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপারের নেতৃত্বে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড ইসরায়েলে 'নাগরিক-সামরিক সমন্বয়কেন্দ্র' স্থাপন করবে। এই ক্রেন্দ্র থেকে নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তার বিষয়টি সমন্বয় করা হবে।

দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, অ্যাডমিরাল কুপারের অধীনে থাকা এই মার্কিন সেনারা অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সেনাসদস্যদের সঙ্গে যুক্ত হবেন। 

মিসর, কাতার, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনারাও যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করবেন। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা গাজায় প্রবেশ করবে না।

২০০ জনের প্রথম দল এরইমধ্যে ইসরায়েলে পৌঁছেছে। সপ্তাহ শেষের আগেই আরও সেনা মধ্যে এসে নতুন সমন্বয়কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু করবে। 

এই সেনাদের মধ্যে মূলত সামরিক পরিকল্পনাকারী এবং লজিস্টিক, নিরাপত্তা ও অন্যান্য সহায়ক ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা থাকছেন।

এসব কেন্দ্রে সেনা, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং ত্রাণকর্মীরা একসঙ্গে কাজ করবেন। তাদের কাজ হবে— মানবিক সহায়তা দেওয়া, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঠিকমতো বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তা দেখা।

বিবিসি জানায়, কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, জিম্মি ও বন্দি বিনিময় সফলভাবে সম্পন্ন হলে পরবর্তী ধাপে 'আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী' গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনো  এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো চুক্তি হয়নি।

আশা করা হচ্ছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি শনিবার ভোরের দিকে কার্যকর হবে। চুক্তি অনুযায়ী, গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরও ৫৩ শতাংশে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিন ধাপে সেনা প্রত্যাহারের প্রথম ধাপ এটি।

আর হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের (জীবিত ও মৃত) মুক্তি কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া শুরু করবে।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

17m ago