হুতি সেনাপ্রধানকে হত্যার তথ্য নিশ্চিত করল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিদের চিফ অব স্টাফ (সেনাপ্রধান) মুহাম্মদ আবদ করিম আল-ঘামারি নিহত হয়েছেন। আগস্টের শেষ ভাগে হামলা চালিয়ে তাকে হত্যার কথা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুসালেম পোস্ট।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সেনাপ্রধান নিহতের বিষয়টি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা।
তারা বলেছে, ঘামারি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিহত হয়েছেন। আবদ করিম আল–ঘামারিকে হত্যার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী না করলেও হুতিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সংঘাত এখনো শেষ হয়নি। বিবৃতিতে তারা আরও বলেছে, 'ইসরায়েল তার করা অপরাধের যথাযথ শাস্তি পাবে।'
তবে এবার আইডিএফ তাকে হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হুতি সরকারের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রী নিহত হন। তখন ইসরায়েল জানায়, হামলার লক্ষ্য ছিল হুতিদের চিফ অব স্টাফ আল-ঘামারি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও অন্য শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। ইসরায়েল তখন বলেছিল, হামলার ফলাফল যাচাই করা হচ্ছে।

২০১৬ সালে হুতি বিদ্রোহীদের চিফ অব স্টাফ হিসেবে নিয়োগ পান ঘামারি। তাকে হুতির সর্বোচ্চ রাজনৈতিক কাউন্সিল মেজর জেনারেল পদ দেয়।
২০২১ সালে হুতির কমান্ডার-ইন-চিফ বা সর্বাধিনায়কের পদ পান তিনি। তিনি আবদুল খালেক আল-হুতি'র স্থলাভিষিক্ত হন।
সর্বাধিনায়ক পদে নিয়োগ পাওয়ার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তার বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করে। সংস্থাটির অভিযোগ, তিনি ইয়েমেনের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করেছেন।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগও পরবর্তীতে একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, 'যেসব সন্ত্রাসী সেনা কর্মকর্তা আমাদের ক্ষতি করতে চেয়েছিল, তাদের মধ্যে আরেকজন, এক চিফ অব স্টাফকে নির্মূল করা হয়েছে। আমরা তাদের সবাইকেই নির্মূল করব।'
Comments