কারাগারে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট সারকোজি

লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে অর্থ নিয়ে নিজের নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর ষড়যন্ত্রের দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ডে আজ মঙ্গলবার কারাভোগ শুরু করেছেন ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মানির সহযোগী নেতা ফিলিপ পেঁতা ১৯৪৫ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে কারাবন্দী হওয়ার পর এই প্রথম কোনো সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট কারাগারে গেলেন।
বিবিসি জানায়, ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট থাকা নিকোলা সারকোজি লা সাঁত কারাগারে নিজের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। সেখানে তিনি একাকী নির্জনে থাকবেন।
প্যারিসের অভিজাত ১৬তম এলাকার ভিলা থেকে স্ত্রী কার্লা ব্রুনি ও সারকোজি হাত ধরে বের হওয়ার সময় শতাধিক মানুষ হাততালি দিয়ে চিৎকার করে বলেন, 'নিকোলা!'
৭০ বছর বয়সী সারকোজিকে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০মিনিটে সেন নদীর দক্ষিণে মনপারনাস এলাকার কারাগার লা সাঁতে প্রবেশ করানো হয়। ওই সময় পুলিশ কর্মকর্তারা আশপাশের রাস্তাগুলো ঘিরে রাখেন।
বিতর্কিত লিবিয়া অর্থ কেলেঙ্কারিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি অব্যাহত রেখেছেন সারকোজি। কারাগারে যাওয়ার পথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, আমার কোনো সন্দেহ নেই, সত্যের জয় হবেই। তবে এর জন্য যে মূল্য দিতে হচ্ছে, তা ভীষণ কঠিন।
তিনি আরও লেখেন, অটল দৃঢ়তায় আমি ফরাসি জনগণকে বলছি, আজ সকালে তারা কোনো সাবেক প্রেসিডেন্টকে নয়, এক নির্দোষ মানুষকে বন্দি করছে।
সারকোজি আরও বলেন, আমার জন্য দুঃখিত হবেন না, কারণ আমার স্ত্রী ও সন্তানরা আমার পাশে আছে। কিন্তু আজ সকালে আমি গভীর বেদনা অনুভব করছি প্রতিশোধপ্রবণ মানসিকতায় অপমানিত এক ফ্রান্সের জন্য।
সারকোজি কারাগারে প্রবেশের কিছুক্ষণ পর তার আইনজীবী ক্রিস্টোফ ইনগ্রাঁ জানান, তার মুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার কারাবাসের কোনো ন্যায্য কারণ নেই। তিনি অন্তত তিন সপ্তাহ থেকে এক মাসের জন্য ভেতরে থাকবেন।
সারকোজি বলেছেন, লা সান্তে কারাগারে তিনি কোনো বিশেষ সুবিধা চান না। তবে নিরাপত্তার জন্য তাকে সেলে একা রাখা হয়েছে, কারণ কারাগারের অন্যান্য বন্দিরা কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী বা সন্ত্রাসবাদের দোষে দণ্ডিত।
Comments