জোহরান মামদানির সম্ভাব্য বিজয় নিয়ে ‘হতাশ’ ট্রাম্প

জোহরান মামদানির সম্ভাব্য বিজয় নিয়ে ‘হতাশ’ ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জোহরান মামদানি। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র নিউইয়র্ক নগরীর মেয়র নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনীত প্রার্থী জোহরান মামদানিকে নিয়ে বিরোধীদের 'বিতর্ক' ততই বাড়ছে। এই প্রার্থীকে নিয়ে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ডেমোক্র্যাট নেতা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুয়োমো 'বর্ণবাদী' মন্তব্য করেছেন। এর আবেগঘন জবাবও দিয়েছেন জোহরান মামদানি।

কিন্তু, জোহরান মামদানির সম্ভাব্য বিজয় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত ২১ অক্টোবর ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের আশঙ্কা নিউইয়র্কের মেয়র পদে তিনি কোনো ডেমোক্র্যাটকে পাচ্ছেন না, পাচ্ছেন এক কমিউনিস্টকে। ট্রাম্প মূলত জোহরান মামদানিকে 'কমিউনিস্ট' আখ্যা দিয়ে থাকেন।

ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে ট্রাম্প সমর্থন দেননি। তিনি চান তার দলের প্রার্থী স্লিওয়া যেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। তার ভোট যেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কুয়োমোর বাক্সে যায়। তিনি এই সহজ সমীকরণ টেনেছেন শুধু জোহরান মামদানিকে নির্বাচনে পরাজিত করতে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকরা ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেছিলেন—তিনি কি স্লিওয়াকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াতে বলবেন? জবাবে ট্রাম্প হ্যাঁ বা না কিছু না বলেই জোহরান মামদানিকে নিয়ে তার উদ্বেগকেই তুলে ধরেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, 'নির্বাচনী মাঠের দিকে তাকালে মনে হয়, নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে আমরা এক কমিউনিস্টকে পেতে যাচ্ছি।'

বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, এর মাধ্যমে ট্রাম্প যেন তার দলের প্রার্থীকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। স্লিওয়া নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে অ্যান্ড্রু কুয়োমো ও জোহরান মামদানির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তখন কুয়োমোর জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। কেননা, কুয়োমো এখন দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন।

ট্রাম্প মনে করেন, 'যদি স্লিওয়া সরে দাঁড়ান তাহলে কুয়োমোর সম্ভাবনা কিছুটা হলেও বেড়ে যায়।'

নিউইয়র্কে প্রগতিশীল নেতৃত্বের প্রভাব কমে যাচ্ছে বলেও মনে করেন ট্রাম্প। জোহরান মামদানির সম্ভাব্য বিজয় নিয়ে তিনি বলেন, 'আমি নিউইয়র্ককে ভালোবাসি। সবসময় ভালোবেসে যাবো। আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না এমন ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।'

'যা ঘটতে যাচ্ছে তা খুবই দুঃখজনক,' বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তার মতে, জোহরান মামদানি যেভাবে এগিয়ে আছে তা তাকে বিজয় এসে দিতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষ্য, 'একজন কমিউনিস্ট যদি নিউইয়র্ক নগরীর মেয়রের দায়িত্বে আসেন তাহলে আপনারা হাজার বছর পেছনে চলে যাবেন।'

জোহরান মামদানি নির্বাচনে বিজয়ী হলে ধনী নিউইয়র্কবাসীদের ওপর বাড়তি কর ধরবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বিনা ভাড়ায় বাস পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ি ভাড়া কমানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। এসব প্রতিশ্রুতির কারণে ট্রাম্প তাকে 'কমিউনিস্ট' বলেন।

তবে নির্বাচনে বিজয়ী হলে জোহরান মামদানির সঙ্গে ট্রাম্প দেখা করবেন কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে বলেছেন, 'হ্যাঁ, আমি তার সঙ্গে কথা বলবো। আমি মনে করি, তার সঙ্গে কথা বলা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।'

এ দিকে, গতকাল শুক্রবার কংগ্রেসে নিউইয়র্কের প্রতিনিধি ও সংখ্যালঘু দলের নেতা হাকিম জেফরিস নিউইয়র্ক নগরীর মেয়র পদে জোহরান মামদানিকে সমর্থন দিয়েছেন। দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে তিনি বলেন, 'মামদানি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি নিউইয়র্ক নগরীকে সব বাসিন্দার জন্য নিরাপদ রাখবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

July charter implementation: Commission races against time to find out ways

Consensus Commission has yet to find a viable mechanism to ensure that the proposed constitutional reforms under the July charter will be implemented

9h ago