ঢাকায় অপহৃত তরুণী কক্সবাজারের হোটেল থেকে উদ্ধার

কক্সবাজারে শিশু আলো হত্যা মামলায় ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড

রাজধানী ঢাকা থেকে অপহরণের ৬ দিন পর কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক তরুণীকে। ওই অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) এবং সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শামসুল আলম খান বলেন, আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন এলাকার এক আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আরাফাত হোসেন রুবাই (২২) গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার নিশাত নগর এলাকার বাসিন্দা।

র‌্যাব জানিয়েছে, গত ২১ মার্চ দুপুরে ঢাকার নিজ এলাকা থেকে ওই তরুণী অপহৃত হন। পরে ঘটনার ২ দিন তরুণীর বোন বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগী তরুণী ঢাকার একটি কলেজের শিক্ষার্থী। কলেজে যাতায়াতের সময় তার এক চাচাত বোনের বন্ধু আরাফাত হোসেন রুবাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে আরাফাত কৌশলে ওই তরুণীর মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। কল করে আরাফাত প্রায়ই ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতেন। এক পর্যায়ে তিনি ওই তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরে বিষয়টি ওই তরুণীর পরিবার রুবাইয়ের পরিবারকে অবহিত করে। এতে রুবাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই তরুণীকে অপহরণের হুমকি দেয়।

র‌্যাব আরও জানায়, গত ২১ মার্চ দুপুরে ঢাকার পল্লবী থানার স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকার কালশী থেকে ওই তরুণী নিখোঁজ হন। স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পাননি। পরে ২৩ মার্চ ওই তরুণীর এক বড় বোন বাদী হয়ে আরাফাত হোসেন রুবাইকে প্রধান আসামি করে পল্লবী থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি জানার পর র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পরে আজ দুপুরে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন এলাকার আবাসিক এক হোটেলে অপহৃত তরুণীসহ ঘটনায় জড়িত অপহরণকারী ব্যক্তি অবস্থান করছে খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। সে সময় হোটেল কক্ষে কৌশলে জিম্মি করে রাখা অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তরুণকে কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago