রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় লক্ষ্মীপুরে সাবেক যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা: র‍্যাব

নিহত আব্দুল্লাহ আল নোমান ও রাকিব ইমাম। ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ইউপি নির্বাচন নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে লক্ষ্মীপুরের সাবেক যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমামকে হত্যা করা হয়েছে বলে র‍্যাব মনে করছে।

আজ সোমবার র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

গত ২৬ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগের হাট এলাকায় ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সর্বশেষ গতকাল রোববার রাতে বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রহমান নিশান (৪৫), রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক দেওয়ান ফয়সাল (৩৮), আওয়ামী লীগ কর্মী পোদ্দার বাজার এলাকার রুবেল দেওয়ান (৩০) ও নাজমুল হাসানকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

আজ এই ৪ জনের গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করে র‍্যাব কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ইউপি নির্বাচন নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে  নোমান ও রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদীকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান ও তৎপরতা অব্যাহত আছে।'

হত্যার ঘটনার পরদিন নিহত যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুর রহমান চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মামলায় চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনকে আসামি করা হয়।

আবুল কাশেম জিহাদী প্রসঙ্গে র‍্যাব কমান্ডার বলেন, 'কাশেম জিহাদী তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তার করে এলাকায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।'

র‍্যাব জানায়, কাশেম জিহাদী নোমান-রাকিব হত্যা মামলা ছাড়াও ২০১৩ সালে দত্তপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন শামিম, ২০০০ সালে আইনজীবী নুরুল ইসলাম, দত্তপাড়া এলাকার আবু তাহের, বশিকপুরের নন্দীগ্রামের মোরশেদ আলম, করপাড়ার মনির হোসেন, উত্তর জয়পুরের সেলিম ভূঁইয়া ও কামাল হোসেন হত্যা মামলার আসামি।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

5h ago