নারায়ণগঞ্জ

মাইকে ‘ডাকাত পড়েছে’ ঘোষণা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

সিদ্ধিরগঞ্জের আটিগ্রামে মাইকে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আটিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. মিলন (৩৬) একই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেসুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিলন ও তার কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি চুরির অভিযোগ উঠেছিল। আজ দুপুরে লোকজনসহ মিলন এলাকায় এলে মসজিদের মাইকে 'ডাকাত পড়েছে' ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়। পরে তাদের ধাওয়া দেয় এবং মিলনকে পিটুনি দেয়।

থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি স্থানীয় একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গত রোববার রাতে দুজনকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।

স্থানীয় কাউন্সিলর নূর উদ্দিন মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রোববার রাতে যে দুজনকে ধরা হয়েছিল তারা মিলনের সহযোগী। ওই ঘটনার পর আজ দুপুরে সহযোগীদের নিয়ে এলাকায় আসেন মিলন। তখন মাইকে "ডাকাত পড়েছে" ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে মিলনকে পিটুনি দেয়।'

এসআই মোখলেসুর রহমান জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় মিলনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, 'নিহতের হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে, তার হাত ও পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।'

জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অপরাধী কর্মকাণ্ডের জন্য মিলনকে আগেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। স্থানীয়রা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। সুযোগ পেয়ে আজ তারা মিলনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।'

'তবে এ ঘটনার সঙ্গে প্রতিপক্ষ কোনো গ্রুপ জড়িত আছে কি না, তাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ,' বলেন তিনি।

এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হবে বলেও জানান ওসি।

তিনি আরও বলেন, 'মিলনের নেতৃত্বে একটি বাহিনী সক্রিয় ছিল। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনসহ ৪টি মামলা আছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

15h ago