ঈশ্বরদীতে মাদকের টাকার জন্য প্রতিবেশী কিশোরকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

ঈশ্বরদীতে কিশোরকে হত্যার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে কিশোর তপু হত্যার রহস্য উদঘাটনের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার দুজনের বরাতে পুলিশ বলেছে, মাদকের টাকা জোগাড় করতে তপুকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তপুর লাশ ট্যাংকে ভরে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

আজ মঙ্গলবার পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী তার কার্যালয়ের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া এলাকার জয়নাল আবেদীন জয় (২০) এবং ঈশ্বরদীর মাশুরিয়া পাড়ার ঈসা খালাশি (১৯)। এই মামলার আরেকজন আসামি পলাতক আছেন। তার নাম সোহেল।

নিহত তপু মাশুরিয়া পাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে। গত ১৫ জুন ঈশ্বরদীর মশুড়িয়া কলেজ পাড়ার কিশোর তপু (১৪) তার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়।

এসপি বলেন, অজ্ঞাত অপহরণকারী তপুর মোবাইল থেকে তার বাবাকে ফোন করে ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। সাত হাজার টাকা দেওয়ার পরও তপুর খোঁজ না পাওয়ায় পরদিন তপুর মা বাদী হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মূল আসামিদের শনাক্ত করা হয়। তবে ভিকটিমকে পাওয়া যাচ্ছিল না।

তিনি জানা, এর পর গত ২২ জুন ঈশ্বরদীর মশুড়িয়াপাড়াস্থ অরণ্য ছাত্রাবাসের তৃতীয় তলায় একটি ট্যাংক থেকে তপুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান তারা ঈশ্বরদী কলেজের পেছনে অরণ্য ছাত্রাবাসে ভাড়া থাকত। ছাত্রাবাসের পাশেই বাড়ি হওয়ায় তপুও তাদের সঙ্গে মোবাইলে গেম খেলত ও আড্ডা দিত। এদের মধ্যে জয় পাবনার আতাইকুলা থানায় একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ওই মামলার খরচ, ছাত্রাবাসে খরচ এবং মাদকের টাকা জোগাড় করতে সোহেল ও ঈসার সঙ্গে মিলে তপুকে অপহরণের পরিকল্পনা করে জয়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কৌশলে তপুকে ছাত্রাবাসে ডেকে এনে জিম্মি করা হয়। তপু চিৎকার শুরু করলে তারা চাকু দিয়ে হত্যা করে এবং বেল্ট দিয়ে হাত বেঁধে একটি ট্যাংকে ভরে রাখে।

পরবর্তীতে জয় ভিকটিমের মোবাইল ফোন দিয়ে তার বাবার কাছে মুক্তিপন দাবি করে।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

6h ago