নির্বাচনে অংশ নিতে পদত্যাগ করলেন খুলনার মেয়র খালেক

খুলনা সিটি করপোরেশন, তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা,
তালুকদার আব্দুল খালেক। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে প্রার্থী হতে মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তালুকদার আব্দুল খালেক।

বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন শাখা-২ এর উপসচিব মো. জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, খুলনা সিটি করপোরেশনের পরবর্তী নির্বাচিত মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের সব প্রশাসনিক ও আর্থিক খাত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া হলো।

২০১৮ সালের ১৫ মে কেসিসি নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে বিজয়ী হন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক। ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি।

এর আগে, ২০০৮ সালে তিনি প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হন।

আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। বুধবার শেষ কর্ম দিবসে ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। সেদিন সকাল ১১টায় নগর ভবনে বিগত দিনের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

সেখানে তিনি নগর উন্নয়নে বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, 'খুলনার উন্নয়নই আমার মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য পূরণে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরবাসীর ভোটে আমি মেয়র নির্বাচিত হই। কিন্তু, ২০১৩ সালে নির্বাচনে আমি মেয়র নির্বাচিত না হওয়ায় চলমান উন্নয়ন কাজ থমকে যায়। পিছিয়ে পড়ে খুলনা সিটি। বলতে গেলে তখন কোনো কাজই হয়নি। তাই এবারও চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী পুনরায় আমাকে মেয়র পদের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'খুলনা সিটি করপোরেশনের চলমান ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে আরও ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।'

Comments

The Daily Star  | English
A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

Projections by the United Nations Food and Agriculture Organization (FAO) indicate that tea cultivation areas could shrink by 2050.

7h ago