সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আলাদা দিনে চায় জামায়াত

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আলাদা দিনে আয়োজন করার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে এ প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
ইসিকে গণভোট আলাদা দিনে করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছে জামায়াত। পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কর্মকর্তা নিয়োগ লটারির মাধ্যমে করার দাবি জানিয়েছে তারা।
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরসহ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার কমিশনারের সঙ্গে আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন।
সিইসির সঙ্গে পিআর পদ্ধতিতে ভোট নেওয়ার আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ তাহের বলেন, 'পিআর আর ট্রেডিশনাল দুই পদ্ধতি আছে। আগে ট্রেডিশনালই ছিল। কিন্তু আমরা দেখছি ৫৪ বছরের নির্বাচনে ট্রেডিশনাল পদ্ধতি নির্বাচনকে সুষ্ঠু করেনি। সে কারণে পিআর সিস্টেম যদি হয় কেন্দ্র দখল, দিনের ভোট রাতে হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।'
'আমরা ইসিকে বলেছি দুই পদ্ধতির ব্যাপারে বিবেচনা করা উচিত। যে প্রস্তুতি দরকার আমরা রিকোয়েস্ট করেছি যদি ন্যাশনালি সিদ্ধান্তটি হয় আলাদাভাবে হওয়ার, আমরা চাচ্ছি নভেম্বরে হোক,' বলেন তিনি।
গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন দুটি ভিন্ন প্রকৃতির উল্লেখ করে মোহাম্মদ তাহের বলেন, 'জাতীয় নির্বাচন আগে হলে দলগুলো বিজয় নিয়েই বেশি সিরিয়াস থাকবে এবং সংস্কার তার মাথায় কাজ করবে না। জাতীয় নির্বাচন কোনো কারণে স্থগিত হলে গণভোটও স্থগিত হবে।'
'ইসি আমাদের জানিয়েছে, সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তারা সেটা এক্সিকিউট করবেন। গণভোট সিম্পল ইলেকশন,' বলেন তিনি।
কেন গণভোট হওয়া উচিত তা জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, 'কেউ কেউ বলেন, গণভোট করতে গিয়ে ঝামেলা হলে জাতীয় নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে যাবে। আমি মনে করি এটা ভালো। ঝামেলাসহ যদি জাতীয় নির্বাচনে যান তাহলে আম-ছালা দুটোই যাবে।'
নির্বাচন কর্মকর্তাদের লটারির মাধ্যমে নিয়োগের প্রস্তাব ইসিকে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, 'এসব নিয়োগে যেন নিরপেক্ষতা বজায় থাকে, সে বিষয়টার ওপর আমরা জোর দিয়েছি।'
Comments