‘বিএনপির সমাবেশ ঘিরে’ খুলনায় এবার ৪৮ ঘণ্টা লঞ্চ বন্ধ

খুলনায় যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ছবি: স্টার

আগামীকাল শনিবার খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যেই এবার ১০ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন খুলনা শাখা।

গতকাল বৃহস্পতিবার তারা এ ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন খুলনা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা শ্রমিকরা মালিকদেরকে বিভিন্ন সময়ে আমাদের সমস্যা নিয়ে দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেছি। কিন্তু, তারা কর্ণপাত করেনি। তাই ১০ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি ডাকতে বাধ্য হয়েছি।'

আজ শুক্রবার ভোর থেকে আগামী ২৩ অক্টোবর ভোর পর্যন্ত তাদের এ কর্মবিরতি চলবে।

তবে, বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে তাদের কর্মবিরতির কোনো সম্পৃক্ততা নেই উল্লেখ করে মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'আমরা শুধু যাত্রীবাহী লঞ্চের ক্ষেত্রে এ কর্মবিরতি পালন করব। সেক্ষেত্রে পর্যটকবাহী লঞ্চ ও নৌ পরিবহনের নৌযান এর আওতার বাইরে থাকবে।'

তাদের ১০ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম হলো বেতনবৃদ্ধি, ভারতগামী নৌযানের ল্যান্ডিং পাসের দাবি, ভৈরব নদীর ড্রেসিং করতে হবে, সার্ভিস বুক চালু করতে হবে ও প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করতে হবে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার রাতে ২১ ও ২২ অক্টোবর খুলনায় সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা বাস মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ময়মনসিংহের সমাবেশে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পথে পথে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেয়। যাত্রীবাহী লঞ্চের কর্মবিরতি ডেকে তারা আমাদের এই সমাবেশকে বানচাল করতে চায়। আগে তারা পরিবহন বন্ধ করেছে। এখন লঞ্চ বন্ধ করল।'

'আমাদের যেসব নেতা-কর্মী খুলনার দক্ষিণাঞ্চল থেকে নৌপথে খুলনায় আসবে, তাদেরকে যাতে না আসতে পারে, সেই ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু, তারপরও যেভাবেই হোক আমাদের নেতারা এই সমাবেশে আসবে', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Industrial output soars, but where are the jobs?

Over the past decade, more and more industries have sprung up across the country, steadily increasing production. But while output rose, factories did not open their doors to more workers.

9h ago