যুক্তরাষ্ট্র তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না: মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। স্টার ফাইল ফটো

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না, তারা দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়।

আজ শুক্রবার বিকেলে সিলেটে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠান শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগী হতে চায়। তাই আমাদের দিকে বিশেষ নজর আছে। আমরা একটি আদর্শ দেশ হয়েছি। তারা চায় আমাদের যে নির্বাচন হবে, সেটা যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়।'

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় না। আমাদের দেশে যে আইন আছে, সে আইনে ইলেকশন চায়। আর আমরা তাদের জানিয়েছি যে, আমরা কী কী করেছি স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য। ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করেছি, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স তৈরি করেছি, শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি- শুনে তারা খুশি হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'তারা চায় যে, ইলেকশনের সময় যেন আমরা মারামারি না করি। তাদের দেশে জানুয়ারির ৬ তারিখের কংগ্রেসে কয়েকজন লোক মরে গেছে। সেজন্য তারা চাচ্ছে যে, বাংলাদেশ একটি আদর্শ নির্বাচন করে পৃথিবীকে দেখাবে আমরা খুব ভালো নির্বাচন করি।'

'বাংলাদেশ ল্যান্ড অব ম্যাজিক। আমরা যা চাই আমরা পারি। এক সময় রানা প্লাজার ঝামেলা হলো, এখন পৃথিবীর মধ্যে ১০টি সবচেয়ে ইকোফ্রেন্ডলি ফ্যাক্টরির মধ্যে ৮টিই বাংলাদেশে,' বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'স্বচ্ছ নির্বাচন শুধু আমরা চাইলেই হবে না, সেজন্য সব দলের সক্রিয় সহযোগিতা ও আন্তরিকতা দরকার। সরকারি দল, বিরোধী দল, ভোটার যারা আছেন, প্রশাসনের লোক আছেন- প্রত্যেকেরই আন্তরিকতা প্রয়োজন।'

তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। অন্যান্য সব দলকেও আন্তরিকতা নিয়ে আসতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার গঠনের অন্য কোনো পথ আমার জানা নেই।'

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা বলেছি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর ব্যবহার ঠিকমতো হয়নি। কিন্তু, দুনিয়ার সব দেশেই এই আইন আছে। যুক্তরাষ্ট্রেও আরও কঠিন আইন আছে। যেখানে এর ব্যত্যয় হয়েছে সেগুলো আমরা রেকটিফাই করব। যুক্তরাষ্ট্র তাতে সন্তুষ্ট। আইন চেঞ্জ করার জন্য বলেনি, বলেছে যাতে অপপ্রয়োগ না হয়।'

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

15h ago