চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত ২১ লাখ ৪১ হাজার কোরবানির পশু: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

রেজাউল করিম
বক্তব্য রাখছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম | ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ঈদুল আজহায় চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম।

আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

রেজাউল করিম বলেন, 'আমাদের চাহিদা রয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি, অর্থাৎ চাহিদার বাইরে উদ্বৃত্ত ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে।'

তিনি বলেন, 'অতীতে ছিল কোরবানির পশু বিক্রি হবে হাটে। আমরা সেটা বর্ধিত করেছি করোনাকালে যে, কোরবানির পশু রাস্তায় বিক্রি করতে পারবে, বাড়িতেও বিক্রি করতে পারবে—যে যেখান থেকে বিক্রি করতে চায়। কারণ বাজারে অনেক সময় মনোপলি ব্যবসা করার জন্য ইজারাদার সংকট সৃষ্টি করে রাখে। এ জন্য আমরা ওপেন করে দিয়েছি।'

'যদি কাউকে বিক্রিতে কোনো ডিস্টার্ব করা হয়, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে,' বলেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোথাও বাধা দেবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার নিজের কথা হয়েছে। যে কোনো জায়গায় বিক্রি করা যাবে। কোথাও যদি বাধা দেয় তাহলে ৯৯৯ নম্বরে বা স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে হবে। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে, ক্রেতা কিনছেন এটা ডকুমেন্ট করতে হবে। যাতে বলা যায় উনি বিক্রি করেছেন।'

গতকাল আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, কোনো অবস্থায় কোরবানির গরুর হাট রাস্তার ওপর করার জন্য অনুমতি তো দেবেই না, বসতে যেন না পারে সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সচেষ্ট থাকবে।

সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'রাস্তায় গরু নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্রি হলে কোনো বাধা নেই, তবে রাস্তার ওপর বাজার বসানো যাবে না।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh alleges border abuse by BSF

Those pushed-in allege torture, abuses in India

A Bangladeshi woman has alleged that India’s Border Security Force (BSF) tied empty plastic bottles to her and her three daughters to keep them afloat, then pushed them into the Feni river along the Tripura border in the dark of night, in a chilling account of abuse at the border.

6h ago