নির্বাচনের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে: চীনা রাষ্ট্রদূত

শুক্রবার সকালে কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ছবি: সংগৃহীত

আগামী জানুয়ারীতে জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে বলে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার সকালে কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, 'নির্বাচন কোনো শর্ত নয়। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। যখনই পরিস্থিতি বা অবস্থা ঠিক হবে, তখনই তারা ফিরে যেতে পারে। এটা নির্বাচনের আগে হতে পারে বা নির্বাচনের পরেও চলবে।'

তিনি বলেন, 'আমরা প্রত্যাবাসনের খুব কাছাকাছি কিন্তু তবুও কিছু প্রচেষ্টা প্রয়োজন এবং আমরা এর জন্য কাজ করছি।'

'রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন মধ্যস্থতাকারী' উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, 'আমরা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সাহায্য করছি। আমরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ভালো বন্ধু। তারা আমাদের বিশ্বাস করে। তাদের অনুরোধে চীন সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করছে।'

'আমরা তাদের একত্রিত করেছি কথা বলার জন্য একটা সমাধান বের করার জন্য, যেন রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে পারে,' যোগ করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, 'আমরা খুশি যে এ কাজে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এখানে মিয়ানমারের কর্মকর্তারা এসেছেন এবং কিছু রোহিঙ্গা রাখাইনে গিয়ে গো অ্যান্ড সি ভিজিট করেছেন। আমি বিশ্বাস করি এখানে একটা ঐকমত্য হয়েছে যেন পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু রোহিঙ্গা ফিরে যেতে পারে।'

তিনি বলেন, 'আমাদের উদ্দেশ্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কিছু রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো।'

তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'শুধু বাংলাদেশ ও মিয়ানমার না, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর উচিত এখানে এক হয়ে কাজ করা। কিছু মানুষ বলছে মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত নয়। কিন্তু রোহিঙ্গারা সারা জীবন বাংলাদেশে বসবাস করতে পারে না। এখানে সবার প্রচেষ্টা দরকার।'

'আশা করি সবাই এই সমস্যার সমাধানের জন্য প্রত্যাবাসনের পক্ষে আমাদের সঙ্গে একসাথে দাঁড়াবে,' যোগ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।

চীনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালে প্রায় ১ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম সহায়তা হস্তান্তর করেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজারে অবতরণের পর রাষ্ট্রদূত আইএফআরসি অফিস পরিদর্শন করেন এবং রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন উপকরণ অনুদান দেন।

সন্ধ্যায় রাষ্ট্রদূতের টেকনাফের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা আছে।

Comments

The Daily Star  | English

Farewell

Nation grieves as Khaleda Zia departs, leaving a legacy of unbreakable spirit

8h ago