জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ

ছবি: ভিডিও থেকে

বাড়িভাড়া ২০ শতাংশ করাসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে বিক্ষোভরত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যবহার করা হয়েছে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড।

আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষকরা। এই 'লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি'তে যোগ দিতে গতকাল স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার কয়েক হাজার শিক্ষক ঢাকায় এসেছেন।

দুপুরের দিকে পুলিশ প্রেসক্লাব এলাকা থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা সরতে না চাইলে সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়।

প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষকদের সরিয়ে দেওয়ার পর সড়কটিতে ধীরে ধীরে যানবাহন চলতে শুরু করে।

সকালে বিক্ষোভের কারণ বিষয়ে নোয়াখালীর একজন মাদরাসা শিক্ষক মোস্তফা কামাল বলেন, 'আমরা সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মতোই কঠোর পরিশ্রম করলেও বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমরা বাড়ি ভাড়া হিসেবে পাই মাত্র এক হাজার টাকা। সরকার বলেছে এটা দেড় হাজার টাকা করবে। এটা তো আমাদের সঙ্গে উপহাস ছাড়া আর কিছু না।'

তিনি বলেন, 'বাড়ি ভাড়ার ৪৫ শতাংশ করার দাবিতে আমরা আগস্টে বিক্ষোভ করেছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় আমাদের যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে বলেছিল। তারপর আমরা ২০ শতাংশ দাবি করি এবং মন্ত্রণালয় আমাদের সেটা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িয়েছে। এটা অত্যন্ত অসম্মানজনক।'

অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

লক্ষ্মীপুরের আরেক শিক্ষক মোসলেহ উদ্দিন বলেন, 'বাড়ি ভাড়াসহ সবকিছুর খরচ বেড়েছে। এই ৫০০ টাকা দিয়ে কী হবে?'

তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে চাকরি জাতীয়করণ। ১৩ আগস্ট প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভে শিক্ষকরা ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর জাতীয়করণের দাবি পূরণের জন্য সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।

দাবি পূরণ না হলে ১৪ সেপ্টেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস ধর্মঘট ও ১২ অক্টোবর থেকে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছিলেন তারা।

তবে, মন্ত্রণালয় থেকে আশ্বাসে তারা সেপ্টেম্বরে কর্মবিরতি পালন করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

BNP opposes RPO amendment requiring alliance parties to use own symbols

Salahuddin says the change will discourage smaller parties from joining coalitions

7m ago