সাতক্ষীরায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে সদর উপজেলার ধুলিহর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সোহরাব হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন—সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর সানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রহমত আলী (৪৩), একই গ্রামের মো. আশিকুজ্জামান (২৫) ও মো.
ইমদাদুল ইসলাম (২৭)।
এসআই সোহরাব হোসেন বলেন, সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সাতক্ষীরা শহরের এক ঠিকাদার বেতনা নদীর মাটি বৈধভাবে ক্রয় করেন। বিষয়টি মঙ্গলবার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অর্ণব দত্ত সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানান এবং মাটি যেন কেউ লুটপাট না করে, সে বিষয়ে আমাকে নির্দেশনা দেন। ওই নির্দেশনার পর পুলিশ ফাঁড়ির পক্ষ থেকেও ট্রলিচালকদের সতর্ক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বুধবার ভোরে কেসমত আলীর নেতৃত্বে সাত–আটজন নেহালপুর স্লুইসগেট এলাকায় খনন করা মাটির স্তূপ ট্রলিতে করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পারেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় কার্যসহকারী রাজকুমার মণ্ডল ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটতে বাধা দেন। সেসময় কেসমত আলী ও তার সহযোগীরা রাজকুমারের ওপর চড়াও হন।
সোহরাব হোসেন বলেন, একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে ট্রলিভর্তি মাটিসহ কেসমত আলীকে আটক করে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কেসমত আলীর ভাই রহমত আলী ও ভাতিজা বাবুর আলীসহ ২৫ থেকে ৩০ জন পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালান। তারা ফাঁড়ির ফটক ভেঙে কেসমতকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে এএসআই মাহাবুর রহমান ও সিপাহি মেহেদী হাসানকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে হামলাকারীরা কেসমত আলীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় বুধবার সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এতে কেসমত আলী, বাবুর আলী ও রহমত আলীসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সকাল ১১টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম। আদালত রিমান্ড শুনানির দিন পরে ধার্য করা হবে উল্লেখ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

Comments