বাংলাদেশ ডামি সোনার বাংলায় পরিণত: মঈন খান

বাংলাদেশ ডামি সোনার বাংলায় পরিণত: মঈন খান
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান | ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ আজ ডামি সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দীন স্বপনের খোঁজ-খবর নিতে তার বাসায় গিয়ে এ কথা বলেন। 

মঈন খান বলেন, 'সরকার মুখে বলে তারা নাকি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। তারা সোনার বাংলা গড়তে চায়। আজকে বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি, যে কাউকে জিজ্ঞাসা করুন; আজকে কোথায় সেই সোনার বাংলা? আজকে তারা ডামি নির্বাচন করেছে, বাংলাদেশ আজকে ডামি সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে। সত্যিকার সোনা নয়, পিতলের বাংলাদেশ।'

তিনি বলেন, 'এখানে স্বাধীনতা যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল দুটি উদ্দেশ্যে, প্রথমটি হলো গণতন্ত্র। কারণ আমরা উপলব্ধি করেছিলাম, পাকিস্তানের অবকাঠামোর ভেতরে কোনো দিন গণতন্ত্র হতে পারে না। পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ, আমরা বলেছিলাম তারা স্বাধীনভাবে কথা বলতে চায়।

'কথা বলার স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল, গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল, মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল। আজকে কোথাও সেই গণতন্ত্র? আজকে একদলীয় শাসন। এটা আমাদের কথা নয়, সবাই বলছে। টাইম ম্যাগাজিনে যে প্রতিবেদন বেরিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে বাংলাদেশে আজকে বাকশাল টু সৃষ্টি হয়েছে,' বলেন তিনি।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গ টেনে মঈন খান বলেন, 'আমরা জানি, বাংলাদেশে কিছু সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ধনিক শ্রেণি সৃষ্টি হয়েছে। তারা ইংল্যান্ড, আমেরিকার ধনিক শ্রেণির চেয়েও অধিকতর বিলাসবহুল জীবন যাপন করে। আপনারা দেখেছেন, লন্ডনে কীভাবে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা বাংলাদেশের মানুষে ফেঁদে বসেছে।'

তিনি বলেন, 'সরকার যদি সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাহলে আজকে তাদের একটি মাত্র পথ খোলা আছে; তারা এই ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন ঘোষণা করুক। প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিত্যাগ করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথে আজকের সরকার ফিরে আসুক, এছাড়া এই সরকারের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।'

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

17h ago