কালু-মজনু-মুন্না জেলে গিয়েছিল এক মামলায়, বেরিয়েছে ২২টি নিয়ে: মির্জা আব্বাস

কালু-মজনু-মুন্না জেলে গিয়েছিল এক মামলায়, বেরিয়েছে ২২টি নিয়ে: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বিএনপিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে দুই বছর আগে থেকে গ্রেপ্তার শুরু করা হয় বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বিদ্যুৎ, গ্যাস ও দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে আজ শনিবার নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণার আগে তিনি এ কথা বলেন।

কারাবাসের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মির্জা আব্বাস বলেন, 'জেলখানায় আমাদের এত কর্মী ছিল; ১৯৭৮ সাল থেকে এ যাবত বহুবার জেলে গেছি আমি। এরশাদের অত্যাচার সয়েছি, এই সরকারের অত্যাচার গত ১৫ বছর সয়েছি, বারবার গ্রেপ্তার হয়েছি কিন্তু জেলখানায় এবারের নিদারুণ, করুণ অবস্থা আমি বর্ণনা করতে পারব না। এত করুণভাবে আমার নেতাকর্মী ভাইদের রাখা হয়েছিল।'

তিনি বলেন, 'রাজনীতি করি, গ্রেপ্তার হবো, স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু নির্যাতন ও অত্যাচার যেভাবে সীমা ছাড়িয়ে গেছে এটা সহ্য করা যায় না, বর্ণনাও করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতাকর্মী ভাইদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে, যুদ্ধ করবে এবং গণতন্ত্রকে তারা মুক্ত করবে। আমরাও আশা করি, আমাদের এই গণতান্ত্রিক আন্দোলন, এই অহিংস আন্দোলন, গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন চলবে।'

তিনি বলেন, 'গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি। সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে কিন্তু সার্বিকভাবে কখনোই ব্যর্থ হয় নাই। মুসোলিনি বহুদিন রাজত্ব করেছে কিন্তু পরিণতি হয়েছে ভয়াবহ। জনগণের আন্দোলনের মুখে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে থাকতে পারে নাই।'

বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চক্রান্ত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'দুই বছর আগে থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের বেছে বেছে গ্রেপ্তার শুরু করা হয় এবং একটি নকশা অনুযায়ী আমাদের বহু নেতাকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়। আমাদের ভুল হয়েছিল, আমরা বুঝতে পারিনি। কালু, মজনু, মুন্না জেলে গিয়েছিল একটি মামলা নিয়ে, জেল থেকে বেরিয়েছে ২২টি মামলা নিয়ে। তাদের পরিকল্পনা যাতে বিএনপি নির্বাচনে না আসে। আমাদের কোনো দাবি-দাওয়া তারা মানবে না, এই দেশের জনগণের কোনো কথা তারা শুনবে না।'

তিনি বলেন, 'এই যে অবস্থা, এটাকে সরকার বলা যাবে না। জোর করে জনগণের ভোটের বাইরে এরা ক্ষমতায় টিকে আছে। ক্ষমতায় টিকে আছে লুটপাট করার জন্য, চুরি করার জন্য, এ দেশের মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।'

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আব্বাস বলেন, 'আমাদের মনোবল ঠিক রাখতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে হবে। এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।

'প্রিয় ভাইরা, অনেক সহ্য করেছেন, আরও সহ্য করতে হবে। যদি বলেন কতদিন সহ্য করতে হবে? এটা বলা সম্ভব না। তবে সহ্য করতে হবে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Ocean of mourners gather to pay tribute to Khaleda Zia

Crowds spilled over into surrounding areas, with large gatherings seen in Farmgate, Karwan Bazar and nearby localities

2h ago