বিমানবন্দর থেকে ৩০০ ফিট অভিমুখে জনস্রোত 

তারেক রহমানকে একপলক দেখতে রাস্তায় লাখো মানুষের ভিড়। ছবি: মামুনুর রশীদ/স্টার

লন্ডনে প্রায় দেড় যুগের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে অপেক্ষারত জনতার একটি বড় অংশ পায়ে হেঁটে পূর্বাচলে ৩০০ ফিট সড়কের দিকে যাচ্ছেন।

লন্ডন থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে। এই ফ্লাইটে আসছেন তারেক রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যরা। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানাবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

ভিআইপি লাউঞ্জের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বুলেট প্রুফ মার্সিডিজে চড়ে তারেক রহমান যাবেন জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ের (৩০০ ফিট সড়ক) কাছে সংবর্ধনার অনুষ্ঠানস্থলে। সেখানে মঞ্চে উঠে নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

আজ সকাল ৯টা থেকে বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করে দেখা যায়, সড়কের দুই পাশে হাজারো নেতাকর্মীর ভিড়।

ছবি: মামুনুর রশীদ/স্টার

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত এই নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের অনেকেই মধ্যরাতে কিংবা ভোরবেলায় বিমানবন্দর সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়েছেন।

তাদের অনেকের হাতে শোভা পাচ্ছে দলীয় পতাকা, রঙিন ব্যানার-ফেস্টুনসহ দলীয় প্রতীক ধানের শীষ।

কথা হয় নীলফামারী থেকে আসা তরুণ আরিফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, মাঝরাতে ৫০ জনের একটি দলের সঙ্গে বিমানবন্দর এলাকায় পৌঁছান। সকালে ভিড়ের মধ্যে দলছুট হয়ে পড়েন। 

পরে আরিফুল জানতে পারেন, তার দল তাকে ছাড়াই মিছিল নিয়ে ৩০০ ফিট সড়কের দিকে রওনা হয়েছে।

পরে একা একাই ৩০০ ফিট সড়কের দিকে হাঁটতে থাকা আরিফুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঢাকায় প্রথমবার আসছি। কোনো কিছুই চিনি না। এখন আরেকটা মিছিল ধরে সংবর্ধনার জায়গায় পৌঁছানোর চেষ্টা করব।'

ছবি: মামুনুর রশীদ/স্টার

এরমধ্যেই রাজশাহী থেকে আসা হাসিবুর রহমানকে কাউকে ফোনে বলতে শোনা গেল, 'রাস্তায় এখন লাখ লাখ মানুষ। নেতাকে একবার চোখের দেখা দেখতে পারলেই জীবন সার্থক হবে।'

হাসিবুরের মতোই এমন উচ্ছ্বসিত হাজারো নেতা-কর্মী-সমর্থককে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিমানবন্দর এলাকা থেকে ৩০০ ফিট সড়কের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে এখনো।

সড়কের একপাশ ঘেঁষে তারা এগুচ্ছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের তৎপর দেখা গেছে।

আবার অনেক নেতাকর্মীকে সড়কের পাশেই অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা গেছে। কেউ হ্যান্ড মাইকে বক্তব্য দিচ্ছেন। কেউ দিচ্ছেন দলীয় স্লোগান।

এত এত মানুষের সমাগমকে উপলক্ষ করে ভ্রাম্যমাণ খাবার বিক্রেতা, জাতীয় ও বিএনপির দলীয় পতাকা বিক্রেতাদের অবস্থাও পোয়াবারো।

দক্ষিণখান এলাকার বাসিন্দা খিচুড়ি বিক্রেতা আনোয়ার জানালেন, ভোর বেলায় তুই ডেগ খিচুড়ি নিয়ে এসেছিলেন তিনি। ১০টা নাগাদ সব খিচুড়ি বিক্রি হয়ে গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

6h ago