হাদি হত্যা: শাহবাগে জড়ো হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা

ছবি: স্টার

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার বিচারের দাবিতে ডাকা অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রোববার সকাল থেকেই রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিক্ষোভকারীরা। সংগঠনটি আজ থেকে বিভাগীয় শহরগুলোতেও সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছে।

কর্মসূচি অনুযায়ী শাহবাগে আজ দুপুর ২টা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে সকাল ১১টার মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে আসতে শুরু করেন। তারা মোড়ের পাশে সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন।

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা। তীব্র শীত উপেক্ষা করে সারা রাত তারা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তবে গতকাল শনিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে বিভাগীয় শহরগুলোতে সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেওয়ার পর তারা এলাকা ছাড়েন।

এদিকে গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী শাহবাগে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে ব্রিফ করেন। দ্রুত অভিযোগপত্র দাখিল ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের আশ্বাস দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ওসমান হাদিকে যারা হত্যা করেছে এবং যারা এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।

তবে বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় সদস্য নাঈম ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রশাসনের বক্তব্য "আইওয়াশ" ছাড়া কিছু নয়। তারা সময়ক্ষেপণের চেষ্টা করছে। যেদিন গুলি হয়েছে, সেদিনই জড়িতদের ধরা যেত। কে কাকে চাপ দিচ্ছে, সরকারকে তা জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে। তারা বলছে কয়েকজনকে ধরা হয়েছে, কিন্তু প্রকৃত খুনিকে অবশ্যই ধরতে হবে।'

মিরপুর থেকে আসা পুরকৌশলী মো. আলামিন বলেন, আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করা হোক। উপদেষ্টার কথায় আমরা আশ্বস্ত হতে পারছি না।

বাংলামোটরের একটি মোটরসাইকেল সার্ভিসিংয়ের দোকানে কর্মরত মো. মীর হাসান রিফাত বলেন, 'কাল রাতে বাসায় গিয়েছিলাম, আজ আবার এসেছি। হাদি ভাই কখনো প্রটোকল ব্যবহার করতেন না, কারণ তিনি জানতেন মানুষ তাকে ভালোবাসে। বিদেশি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।'

গতকাল রাতে বিক্ষোভকারীদের ব্রিফ করার সময় ডিএমপি কমিশনার জানান, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে সরকার পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে মাঠে নামিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ২১৮ কোটি টাকার স্বাক্ষরিত চেক জব্দ করেছে পুলিশ।

Comments