ইটভাটার সংবাদ সংগ্রহে যাওয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলা

সাংবাদিক আবু আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অবৈধ ইটভাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আবু আজাদ। 

এ সময় তাকে অস্ত্রের মুখে স্থানীয় ইউপি সদস্যের অফিসে নিয়ে দেড় ঘণ্টা বন্দি করে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

রোববার সকালে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের মঘাছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের অভিযোগ, স্থানীয় ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মহিউদ্দীন তালুকদার (মোহন) অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে মারধর করেন।

সাংবাদিক আবু আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অবৈধ ইট ভাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের মঘাছড়িতে পৌঁছাই। সেখানে সড়কের পাশ থেকে মাটি তুলে নামহীন একটি ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই ছবি তুলতে গেলে ইউপি সদস্য মোহন ৫-৬ জন লোক নিয়ে এসে আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করে। এরপর আমাকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে মঘাছড়ি বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে আবার মারধর করে। এরপর তার কার্যালয়ে নিয়ে বেঁধে রাখে।'

আবু আজাদ আরও বলেন, 'মারধরের এক পর্যায়ে মোহনের মোবাইল ফোন দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আমার সঙ্গে কথা বলেন। আমার পরিচয় জানার পর তিনি আমাকে বলেন যে এ রকম সাংবাদিক মেরে ফেললে কিছু হবে না। এরপর তারা আমার গুগল ড্রাইভে ঢুকে সব ছবি-ভিডিও ডিলিট করে দেয় এবং মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলে। পরে আমাকে ছেড়ে দিলে আমি রাঙ্গামাটি মেডিকেলে গিয়ে চিকিৎসা নিই।'

যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মহিউদ্দীন তালুকদার মোহন মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওই সাংবাদিককে আনতে গিয়ে দেখি চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে মারধর করছে। তার মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেছে। তাদের কাছ থেকে সাংবাদিককে উদ্ধার করে আমার অফিসে নিয়ে আসতে চাইলে, তিনি রাজি হননি। পরে তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে আমার অফিসে আনি।'

'তার মানিব্যাগ, এটিএম কার্ড, আইডি কার্ড আমার কাছে আছে। মোবাইলটা যেহেতু ভেঙে ফেলেছে, চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কিনে দেবো,' বলেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

যোগাযোগ করা হলে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিল্কী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাংবাদিক মারধরের বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।'

সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিন্দা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাহী সদস্য আজহার মাহমুদ এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

7h ago