ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে আফ্রিকার ১০ দফা শান্তি প্রস্তাব

ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে আফ্রিকার ১০ দফা শান্তি প্রস্তাব
ছবি: রয়টার্স

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আফ্রিকার ৭ দেশের প্রতিনিধিরা দেখা করে ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনের একটি শান্তি চুক্তির পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন।
 
আজ রোববার রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম তাস এ তথ্য জানিয়েছে। 

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, রাশিয়া আফ্রিকান ইউনিয়নের কাছ থেকে আসা প্রস্তাব নিরীক্ষা করে দেখতে প্রস্তুত। এর আগে একই প্রতিনিধি দল কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এই উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
 
আলোচনার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা শান্তি চুক্তির ১০টি মূল বিষয় উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে আছে উভয় পক্ষে সংঘাত কমিয়ে আনা, কূটনৈতিক আলোচনা, জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, বন্দি বিনিময়, যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠন ও আরও কিছু বিষয়।
 
পুতিন উল্লেখ করেন, ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। ইস্তাম্বুলে একটি প্রাথমিক শান্তি চুক্তি সাক্ষর করা সত্ত্বেও তারা নিজ উদ্যোগে এই কাজটি করেছে। এ ছাড়া, পুতিন উল্লেখ করেন, জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী রাশিয়া দনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে পারে। 

৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই আলোচনা চলে।
 
আফ্রিকার প্রতিনিধি দলে ছিলেন জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হাকাইন্দে হিচিলেমা, কমোরোসের প্রেসিডেন্ট আজালি আসসৌমানি, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলি ও কঙ্গো ও উগাণ্ডার প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি ফ্লোরান সিবা ও রুহাকানা রুগানদা।
 
বৈঠকের শুরুতে পুতিন উল্লেখ করেন, রুশ পররাষ্ট্রনীতিতে আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি প্রাধান্যের বিষয়।
 
তিনি জানান, যারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান, তাদের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা করতে রাশিয়া সব সময়ই প্রস্তুত। 

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা পুতিনকে বলেন, 'ইউক্রেন সংঘাত শেষ করার সময় এসেছে।' এরপর তিনি যুদ্ধ নিরসনের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
 
এই প্রস্তাবের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- উভয় দেশের যুক্তি ও অবস্থান শোনা; উভয় পক্ষে সামরিক কার্যক্রম কমিয়ে আনা; জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র ও জনগণের সার্বভৌমত্ব রক্ষা; সব দেশের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; উভয় দেশের শস্য ও সার পরিবহন নিশ্চিত করা; যুদ্ধে প্রভাবিত জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা; বন্দি বিনিময় ও শিশুদের প্রত্যাবাসনের বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি; যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনের রূপরেখা তৈরি; যুদ্ধে প্রভাবিত জনগোষ্ঠীর জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা রাখা; আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।

বৈঠকে প্রস্তাবের কিছু বিষয় নিয়ে পুতিন তার নিজস্ব মত দেন। পরবর্তীতে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, পুতিন ও আফ্রিকার প্রতিনিধিরা আরও বিস্তারিত আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে শান্তি পরিকল্পনার সবগুলো প্রস্তাবের সঙ্গে রাশিয়া একমত নয়।

 

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia contribution to Bangladesh democracy

A leader who strengthened our struggle for democracy

Khaleda Zia leaves behind an enduring legacy of service.

13h ago