গেইলের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে চূড়ায় চার্লস

ছবি: টুইটার

টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড এতদিন ছিল ক্রিস গেইলের দখলে। 'ইউনিভার্স বস' খ্যাত এই বাঁহাতি তারকাকে পেছনে ফেললেন জনসন চার্লস। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গেইলের চেয়ে ৮ বল কম খেলে শতক হাঁকিয়ে তিনি উঠে গেলেন চূড়ায়।

রোববার সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করলেন চার্লস। স্বাগতিক বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে তিন অঙ্কে পৌঁছাতে তার লাগে মাত্র ৩৯ বল। ততক্ষণে এই ডানহাতি টপ অর্ডার ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে আসে সমান নয়টি করে চার ও ছক্কা। ক্রিকেটের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম সংস্করণে ৪০ ম্যাচে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে তিনি হাফসেঞ্চুরি পেয়েছিলেন চারবার।

চার্লস যার রেকর্ড ভেঙে নিজের করে নিলেন, সেই গেইলের সাত বছর ধরে টিকে থাকা কীর্তির অবসান ঘটল। ২০১৬ সালের মার্চে ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৪৭ বলে শতরান করেছিলেন গেইল। মুম্বাইতে সেদিন ক্যারিবিয়ানদের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে চার্লসের সেঞ্চুরিটি দ্বিতীয় দ্রুততম। তার মতো ৩৯ বলে সেঞ্চুরি আছে আরও দুজনের। তারা হলেন রোমানিয়ার শিভাকুমার পেরিয়ালওয়ার (২০১৯) ও হাঙ্গেরির জিশান কুকিখেল (২০২২)। ২০ ওভারের ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডও যৌথভাবে তিনজনের দখলে। দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার (২০১৭), ভারতের রোহিত শর্মা (২০১৭) ও চেক প্রজাতন্ত্রের সুদেশ বিক্রমাসেকারা (২০১৯) সেঞ্চুরি করেছেন মাত্র ৩৫ বলে।

তিনে নামা চার্লস এদিন মাত্র ২৩ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি, ইনিংসের অষ্টম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনারকে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে। তিনি একই কায়দায় পৌঁছান টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে। ইনিংসের ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে পেসার সিসান্দা মাগালাকে কভার দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়েই মাতেন উল্লাসে।

পরের ওভারে বোল্ড হয়ে থামে ৩৪ বছর বয়সী চার্লসেরর তাণ্ডব। দুর্ভাগ্যই বলতে হবে তার। প্রোটিয়া পেসার মার্কো ইয়ানসেনের ফুল লেংথের ডেলিভারি সময়মতো ব্যাট নামিয়ে ঠেকান তিনি। কিন্তু বল তার প্যাডে লেগে পেছনের দিকে গিয়ে ভেঙে দেয় স্টাম্প। আউট হওয়ার আগে ১১৮ রান আসে চার্লসের ব্যাট থেকে। ৪৬ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১০ চার ও ১১ ছক্কা।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago