ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে টানা হারের বিশ্বরেকর্ড গড়ল ঢাকা

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

তানজিদ হাসান তামিমের ফিফটি ও টম ব্রুসের ব্যাটে চড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স পেল লড়াইয়ের পুঁজি। জবাবে অ্যালেক্স রস ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আশা জাগালেও দুর্দান্ত ঢাকা পারল না লক্ষ্য ছুঁতে। ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে টানা ১১ ম্যাচ হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে এবারের বিপিএল শেষ করল তারা।

শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ রানে জিতেছে স্বাগতিক চট্টগ্রাম। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান তোলে তারা। এরপর ঢাকা পুরো ওভার খেলে থামে ৫ উইকেটে ১৪৯ রানে।

চলতি বিপিএলে লিগ পর্বের ১২ ম্যাচের সবকটি খেলে ফেলা ঢাকার পয়েন্ট স্রেফ ২। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা হারিয়ে দিয়েছিল গত দুইবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। এরপর আর জয়ের মুখ দেখতে পারেনি দলটি।

বিশ্বের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগে এক আসরে টানা এত বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ড নেই আর কোনো দলের। বিপিএলের এক আসরে সব মিলিয়ে ১১ ম্যাচ হারের নজির অবশ্য আগেও আছে। ২০১৯ সালে প্রতিযোগিতার সপ্তম আসরে ১১ ম্যাচ হেরেছিল সিলেট থান্ডার। তবে তারা টানা হারেনি।

চট্টগ্রাম পেল আসরে তাদের ষষ্ঠ জয়। ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে গেছে তারা। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারে থেকে প্লে-অফে খেলার দৌড়ে দলটি ভালোভাবে টিকে আছে।

ম্যাচসেরা তানজিদ চট্টগ্রামের হয়ে খেলেন ৭০ রানের ইনিংস। ৫১ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ১ চার ও ৬ ছক্কা। নিউজিল্যান্ডের ব্রুস ৩৫ বল খেলে করেন ৪৮ রান। তৃতীয় উইকেটে তানজিদের সঙ্গে তিনি গড়েন ৬৮ বলে ৯৫ রানের জুটি।

তারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর শেষদিকে প্রত্যাশিত গতিতে রান তুলতে পারেনি চট্টগ্রাম। তবে শেষ পর্যন্ত এটা নিয়ে কোনো আক্ষেপ থাকেনি তাদের। ঢাকার হয়ে ২ উইকেট করে নেন তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

লক্ষ্য তাড়ায় তৃতীয় ওভারের মধ্যে দলীয় ৯ রানে ২ উইকেট হারায় ঢাকা। এরপর নাঈম শেখ ও অস্ট্রেলিয়ার রস ৫১ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু রানের চাকা গতিশীল ছিল না। ৪৬ বলের জুটি ভাঙে নাঈমের বিদায়ে। তিনি ৩৫ বল খেলে করেন ২৯ রান।

এরপর ঝড়ো তিনটি জুটি পায় ঢাকা। কিন্তু ততক্ষণে কঠিন হয়ে পড়া সমীকরণ মেলানো সম্ভব হয়নি তাদের। রস ৪৪ বলে ৫৫ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। মোসাদ্দেক ৫ চারে ১৮ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

Comments

The Daily Star  | English

This victory belongs to the students, not any faction: Shadik Kayem

Newly elected Ducsu VP says they do not want to mark victory with rallies

37m ago