রিপনের পেসের ঝাঁজে কুপোকাত নোয়াখালী, রাজশাহীর সহজ জয়
কুয়াশাঘেরা সন্ধ্যায় বল হাতে গতির ঝড় তুললেন রিপন মন্ডল। তার তোপে খড়কুটোর মতো ধসে পড়ল নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ইনিংস। মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে কিছুটা হোঁচট খেলেও মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলির ব্যাটে অনায়াস জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার নবাগত নোয়াখালীকে টানা তৃতীয় হারের স্বাদ দিয়েছে রাজশাহী। নাজমুল হোসেন শান্তর দল জিতেছে ৬ উইকেটে। তিন ম্যাচে এটি রাজশাহীর দ্বিতীয় জয়। আগে ব্যাট করে ১২৪ রানে অল-আউট হয় নোয়াখালী, ১৩ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রাজশাহী। ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন রাজশাহীর পেসার রিপন।
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই পাকিস্তানি ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানকে (০) হারায় রাজশাহী। তাকে বোল্ড করে নোয়াখালীকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে হাল ধরেন তানজিদ হাসান তামিম ও অধিনায়ক শান্ত। দুজনে গড়েন ৬৫ রানের জুটি।
সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকা এই দুই ব্যাটারই থিতু হয়ে সাজঘরে ফেরেন। রেজাউর রহমান রাজার বলে ক্যাচ দিয়ে শান্ত (২৫) ফেরার পর জহির খানের স্পিনে বোল্ড হন তানজিদ (৩২)। এরপর হোসেইন তালাতও দ্রুত বিদায় নিলে কিছুটা চাপে পড়ে রাজশাহী। তবে সেই চাপ জয় করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিক ও ইয়াসির। ৫৬ বলে ৫২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তারা। মুশফিক ৩০ বলে ২৮ ও ইয়াসির ২৬ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নোয়াখালীর ইনিংস গুঁড়িয়ে দেন রাজশাহীর পেসাররা। তানজিম হাসান সাকিব ও বিনুরা ফার্নান্দোর মতো অভিজ্ঞদের ছাপিয়ে সব আলো কেড়ে নেন তরুণ রিপন মন্ডল। মাত্র ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন এই ডানহাতি পেসার, যা স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হাবিবুর রহমান সোহানকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু দেন বিনুরা। পঞ্চম ওভারে সাব্বির হোসেনকে দিয়ে রিপন শুরু করেন তার উইকেট উৎসব। নোয়াখালীর হয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করা পাকিস্তানি মাজ সাদাকাতকে (২৫) ফেরান তারই স্বদেশী হোসেইন তালাত। চারে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন থিতু হলেও ছিলেন মন্থর, তানজিম সাকিবের শিকার হওয়ার আগে করেন ১৯ রান। জাকের আলি অনিককেও দ্রুত ফেরান তানজিম।
শেষ দিকে নোয়াখালীর ইনিংস ধসিয়ে দেন রিপন। বিপদজনক হয়ে ওঠা হায়দার আলিকে (৩৩) আউট করার পর রেজাউর রহমান রাজা ও হাসান মাহমুদকে ফিরিয়ে নিজের চার উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। তার বিধ্বংসী স্পেলে ১২৪ রানেই গুটিয়ে যায় নোয়াখালী।


Comments