মির্জার ফিফটি ও বোলারদের দাপটে জিতল চট্টগ্রাম
দিনের প্রথম ম্যাচে কিছুটা লড়াই দেখেছিল দর্শকরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ অনেকটাই একপেশে। মির্জা বেগের দায়িত্বশীল ইনিংস ও বোলারদের নিয়ন্ত্রিত পারফরম্যান্সে সহজ জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম রয়্যালস। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় লড়াই জমাতে পারেনি নোয়াখালী এক্সপ্রেস। হারতে হয় বড় ব্যবধানে।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের দ্বাদশ আসরের প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নোয়াখালীকে ৬৫ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৪ রান করে দলটি। জবাব দিতে নেমে ১৬.৫ ওভারে ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় নোয়াখালী।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। ইনিংসের শুরুতে কোটি টাকা দিয়ে কেনা মোহাম্মদ নাঈমকে নিয়ে ওপেনিংয়ে নামেন পাকিস্তানি ব্যাটার মির্জা বেগ। তবে দলীয় ২৯ রানেই মেহেদী হাসান রানার বলে নাঈম ফিরে গেলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর মাহফিজুল ইসলামের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়ে ইনিংস সামাল দেন বাইগ।
মাঝের ওভারে মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে ৫৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে চট্টগ্রামকে লড়াইয়ের ভিত এনে দেন মির্জা। পরে অধিনায়ক শেখ মেহেদী হাসান নেমে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ইনিংসে গতি আনেন। মাত্র ১৩ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৬ রানের ক্যামিও খেলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত একপ্রান্ত আগলে রেখে ইনিংস বড় করেন মির্জা। ইনিংসের শেষ বলে হাসান মাহমুদের বলে এলবিডাব্লিউ হওয়ার আগে ৬৯ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন দারুণ ৮০ রান। তার এই ইনিংসেই নির্ভরযোগ্য সংগ্রহ দাঁড় করাতে সক্ষম হয় চট্টগ্রাম।
জবাবে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে প্রতিপক্ষ। ওপেনিং জুটিতে ২৩ রান যোগ করার পর শরিফুল ইসলামের বলে হাবিবুর রহমান সোহান আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর দ্রুতই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায়। দলীয় ৫৪ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় তারা। সাব্বির রহমান (৫), সৈকত আলী (৪) ও জাকের আলী (৬) কেউই ইনিংস টানতে পারেননি।
মাঝে স্বদেশী হায়দার আলী নেমে ওপেনার মাজ সাদাকাতকে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। এই জুটিতে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩২ রান। তবে এই জুটি ভাঙতেই ফের ধস নামে ব্যাটিংয়ে। এরপর মাত্র ২৩ রান যোগ হতেই শেষ হয়ে যায় বাকি ৬ উইকেট।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন মাজ সাদাকাত। ২৭ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। হায়দার আলী ২টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ২৮ রান। দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল সোহান (১৫)।
চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে তানভীর ইসলাম ছিলেন সবচেয়ে সফল। কিছুটা খরুচে হলেও তিনি নেন ৩টি উইকেট। শেখ মেহেদী হাসান ও মুকিদুল ইসলাম শিকার করেন ২টি করে উইকেট। সম্মিলিত বোলিং নৈপুণ্যে সহজ জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম।


Comments