চারে নেমে ইমনের ফিফটি, আফিফের ঝড়ো ব্যাটিং
সাদামাটা উদ্বোধনী আয়োজনের মধ্য দিয়েই শুরু হলো বিপিএলের দ্বাদশ আসর। মাঠের উত্তাপ বাড়াতে বেশি সময় নেয়নি সিলেট টাইটানস। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ধারাবাহিক জুটি আর শেষভাগের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ১৯০ রানের শক্ত ভিত গড়ে তোলে দলটি।
ইনিংসের শুরুতে রনি তালুকদার ও পাকিস্তানি ওপেনার সাইম আইয়ুব দেখেশুনে এগোতে থাকেন। ঝুঁকি না নিয়ে ছোট ছোট স্ট্রোকে রান তোলেন দুজন। তাদের ৩৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের লঙ্কান পেসার বিনুরা ফার্নান্ডোর বলে। সাইম আইয়ুব ফিরলেও ইনিংসের গতি ধরে রাখেন রনি। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৪৫ রান তুলে ভালো ভিত্তি গড়ে নেয় সিলেট।
এরপর আফগান ব্যাটার হজরতুল্লাহ জাজাইকে সঙ্গে নিয়ে রনি যোগ করেন আরও ৩২ রান। মাঝের ওভারগুলোতে সিলেটের ইনিংস ছিল নিয়ন্ত্রিত ও পরিকল্পিত। রনি আউট হওয়ার আগে পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে গড়েন ৩৬ রানের কার্যকর জুটি, যা দলকে শক্ত ভিত দেয়।
চারে নেমে এরপর পুরো ম্যাচের চিত্র বদলে দেন পারভেজ হোসেন ইমন। একপ্রান্ত আগলে রেখে আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে রাজশাহীর বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করেন তিনি। অন্য প্রান্তে আফিফ হোসেন নামতেই ইনিংসে আসে গতি। দুজন মিলে গড়েন ম্যাচের সবচেয়ে বড় ৮৬ রানের জুটি, যা সিলেটকে বড় সংগ্রহের দিকে ঠেলে দেয়।
ইমন খেলেন দায়িত্ব ও আগ্রাসনের দারুণ মিশ্রণে সাজানো এক ইনিংস। ৩৩ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৫ রান করেন তিনি। শেষদিকে আফিফ হোসেন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৯ বলে ৩৩ রান তুলে ইনিংসের গতি আরও বাড়ান, যদিও শেষ বলের আগমুহূর্তে রানআউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
এর আগে রনি তালুকদার করেন ৩৪ বলে ৪১ রান, সাইম আইয়ুবের ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ২৮ রান এবং হজরতুল্লাহ জাজাই যোগ করেন ২০ রান। রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে তুলনামূলক সফল ছিলেন নেপালের লেগ স্পিনার সন্দিপ লামিচানে, যিনি ৩৮ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

Comments