শান্তর ব্যর্থতার দিনে আবাহনী হারল ইমরুলের ব্যাটে

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলতে নেমে রান পেলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের ব্যর্থতার দিনে পারভেজ হোসেন ইমন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ফিফটিতে সাদামাটা পুঁজি পেল আবাহনী। সেটা পর্যাপ্ত হলো না শিরোপাধারী দলটির জন্য। ইমরুল কায়সের দারুণ ইনিংসে তাদেরকে পরাস্ত করল প্রথম শ্রেণি থেকে শীর্ষ স্তরে উঠে আসা অগ্রণী ব্যাংক।

সোমবার পর্দা উঠেছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের নতুন আসরের। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী দিনে অগ্রণী ব্যাংকের কাছে ৬ উইকেটে হেরে গেছে ঐতিহ্যবাহী আবাহনী। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায় তারা। জবাবে ৪৫ ওভারে ৪ উইকেট খুইয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় নবাগতরা।

অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে বল হাতে নজর কাড়েন শহিদুল ইসলাম। ডানহাতি পেসার ১০ ওভারে ৪৪ রান খরচায় নেন ৪ উইকেট। এরপর সফল রান তাড়ায় তাদের নায়ক অধিনায়ক ইমরুল। অভিজ্ঞ বাঁহাতি ব্যাটার অল্পের জন্য সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন। ৯৪ বল মোকাবিলায় তিনি খেলেন ৯৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তিনি মারেন তিনটি চারের সঙ্গে সাতটি ছকা। এছাড়া, সাদমান ইসলাম ৭০ বলে ৪৬ ও অমিত হাসান ৬৩ বলে ৪৪ রান করেন।

রাজনৈতিক পালাবদলে সার্বিকভাবে আবাহনী খেয়েছে বড় ধাক্কা। আগের আসরে এই দলে খেলা বেশিরভাগ ক্রিকেটার এবার নতুন ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন। তবে থেকে গেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের তিন সংস্করণের অধিনায়ক শান্ত। যদিও দলের প্রথম ম্যাচে তার ব্যাট হাসেনি। তিনে নেমে ২০ রান করতে তিনি খেলে ফেলেন ৫১ বল। তার ইনিংস থামে অফ স্পিনার নাঈম হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।

আবাহনীর ব্যাটিংকে শুরুতে টানেন বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৪ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে ৫০ রান। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে তিনি যখন শুভাগত হোমের বলে আউট হন, তখন দলের সংগ্রহ ২৮তম ওভারে ১০৫ রান।

পারভেজের বিদায়ের পর আবাহনীর ত্রাণকর্তা মোসাদ্দেক। ছয়ে নেমে ৭৩ রানের আক্রমনাত্মক ইনিংস খেলেন তিনি। ৬৫ বল খেলে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান। নবম ব্যাটার হিসেবে ইনিংসের শেষ ওভারে ফেরেন তিনি। শহিদুলের বলে তার ক্যাচ নেন শুভাগত।

আবাহনীর বোলাররা লড়াই জমাতে পারেননি। শুরু থেকেই অনায়াসে স্কোরবোর্ডে রান জমা করতে থাকেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাটাররা। ৫৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে দ্বাদশ ওভারে। ইমরানউজ্জামান ৩৫ বলে ৩৫ রানে আউট হন। সাদমান সাজঘরে যান দলের শতরান পূর্ণ হওয়ার পর।

তৃতীয় উইকেটে ১২৫ রানের জুটি গড়ে আবাহনীকে ছিটকে দেন ইমরুল ও অমিত। জয় হাতের নাগালে থাকা অবস্থায় ৩ বলের মধ্যে থামেন দুজন। এরপর বাকি স্বল্প পথটা মিলিয়ে ফেলেন মার্শাল আইয়ুব ও তাইবুর রহমান মিলে।

Comments

The Daily Star  | English

‘Polls delay risks return of autocracy’

Says Khandaker Mosharraf after meeting with Yunus; reiterates demand for election by Dec

13m ago