হৃদয়ের উপর মেজাজ হারানোর পরই আউট, কি ব্যাখ্যা দিলেন লিটন?

Litton Das

রান তাড়ায় উড়ন্ত শুরু এনেও তখন ফিরে গেছেন দুই ওপেনার। বাংলাদেশ দল কিছুটা চাপেই বলা যায়। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তখন একটি না নেওয়া নিয়ে তাওহিদ হৃদয়ের উপর মেজাজ হারান লিটন দাস। বাংলাদেশ অধিনায়ক এরপরের বলেই আউট হয়ে যান। ম্যাচ শেষেও আলোচিত এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

৬ষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে হাসান আলিকে আলতো করে খেলেই রানের জন্য ছুটেছিলেন লিটন, নন স্ট্রাকিং প্রান্তে থাকা হৃদয় দুইবার কলেও সাড়া দেননি, ফিরিয়ে দেন লিটনকে। এতে মেজাজ হারান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফিরে গিয়ে তিনি হৃদয়কে কিছু একটা বলছিলেন।

ঠিক পরের বলেই বাজে শটে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন লিটন। খানিক পর তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলিরা একে একে বিদায় নিলে পথ হারিয়ে বড় ব্যবধানে হারা নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।

সতীর্থের উপর লিটনের মেজাজ হারানোটা নজর কেড়েছে সবার। ধারাভাষ্যে থাকা রমির রাজা ও আমির সোহেলও আলাপ করেন তা নিয়ে। রমিত বলেন, 'লিটন ত রেগেমেগে আগুন'। সোহেল বলছিলেন, 'এটা তো সিঙ্গেল হয় না। হৃদয় ঠিক কাজই করেছেন।'

পুরস্কার বিতরণীয় আয়োজনে রামিজ এক পর্যায়ে লিটনকে জিজ্ঞেস করলেন, 'আপনার আউট নিয়ে কি বলবেন, একটা সিঙ্গেল না নেওয়ায় উত্তেজিত হওয়ার পর পরই আউট হয়ে গেলেন?'

আউটের পেছনে রাগের প্রভাব না দেখলেও হৃদয়ের সিঙ্গেল নিতে সাড়া না দেওয়াকে মৌলিক কাজের ব্যত্যয় বলে বর্ণনা করলেন লিটন, 'আসলে তা নয় (মেজাজ হারানোয় আউট কিনা)। এটা মৌলিক ব্যাপার। আপনাকে মৌলিক জিনিসগুলো তো করতে হবে। পরপর দুটি উইকেট দেখেন পড়ল। আমরা দুটি রান নেইনি। দায় দিচ্ছি না, তবে মৌলিক বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।'

প্রথম ম্যাচের চেয়েও এই ম্যাচ বাজেভাবে হারে বাংলাদেশ। পাকিস্তানে ২০১ রানের জবাবে করতে পারে ১৪৪ রান। সেই ১৪৪ রানও এসেছে মূলত নয়ে খেলা তানজিম হাসান সাকিবের ৩১ বলে ৫০ রানে। যা হারের ব্যবধান কমিয়েছে স্রেফ।

এমন বড় হারের পেছনে অবশ্য লিটন মূল পেসার শরিফুল ইসলামের চোটের দায় দিলেন। যিনি মাত্র ৩ বল করেই মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান, আমার মতে, যখন শরিফুল চোটে পড়ল, তখন মোমেন্টাম পুরোপুরি ওদের দিকে চলে গেছে। কারণ আমরা জানি, বোলিংয়ে আমাদের ঘাটতি আছে।'

শেষ দিকে তবু পাকিস্তানের রাশ টেনে লক্ষ্য নাগালেই রাখা গিয়েছিলো। রান তাড়া করতে না পারায় ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ব্যর্থতার কথা বললেন লিটন,  'তবু আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এই উইকেটে ২০০ রান... আমি যে কোনো (রান তাড়ার জন্য) ব্যাটিং করতে চাইব। কিন্তু ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা সেটি করতে পারিনি।'

'যে-ই ভালো ব্যাটিং করে, তার উচিত ইনিংস এগিয়ে নেওয়া। তার ১৩-১৪ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করতে হবে। চতুর্থ ওভারের পর আর ভালো ব্যাটিং করিনি। টানা উইকেট পড়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

1h ago