পাকিস্তানের কাছে হোয়াইটওয়াশই হলো বাংলাদেশ

আগের ম্যাচের জয়ের অন্যতম নায়ক সাহিবজাদা ফারহানকে ফেরানো গেলো শুরুতেই। তবে অফফর্মে থাকা সাইম আইয়ুব খুঁজে পেলেন ছন্দ। আর মোহাম্মদ হারিস তো দানবীয় ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। তাতে লড়াইটাও করতে পারলো না বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশই হলো টাইগাররা।

রোববার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ২২ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে স্বাগতিক দলটি।

সবশেষ পাকিস্তান সফরে টেস্ট সিরিজে তাদের হোয়াইটওয়াশ করেই ফিরেছিল বাংলাদেশ। এবার উল্টো হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরলো দলটি। যদিও সংস্করণ ভিন্ন, তবে মধুর প্রতিশোধই নিল পাকিস্তান।

এদিন ব্যাটিং করে কাঙ্ক্ষিত পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ। ব্যাটিং স্বর্গে বল যেভাবে এসেছে তাতে অনায়াসেই দুইশ ছাড়িয়ে আরও বড় পুঁজি পেতে পারতো টাইগাররা। উড়ন্ত সূচনাও এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু পরের ব্যাটাররা এরপর আগ্রাসনের ধারা ধরে রাখতে পারেননি। ফলে ১৯৬ রানে সন্তুষ্ট থাকতে হয় টাইগারদের।

তবে বাংলাদেশের এই পুঁজিতে প্রয়োজন ছিলো শুরুতে পাকিস্তানের কিছু উইকেট তুলে নেওয়া। ব্যক্তিগত ১ রানে সাহিবজাদাকে ফিরিয়ে এমন কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল দলটি। কিন্তু হারিস নেমেই চিত্র পাল্টে দেন। তার খুনে ব্যাটিংয়েই শেষ হয়ে যায় টাইগারদের আশা।

তবে সুযোগ দিয়েছিলেন হারিস। রিশাদ হোসেনের বলে দুটি ছক্কা মারার পর ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়লেও সেই ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। তখন তিনি ব্যাট করছিলেন ৩৭ রানে। সেই হারিস এরপর যোগ করেছেন আরও ৭০ রান।

আগের দুই ম্যাচে ০ ও ৪ রান করা সাইম অবশ্য এদিন শুরুতে কিছুটা ধুঁকেছেন। তবে ধীরে ধীরে নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে হারিসের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৩ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন তারা। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে তানজিমের শিকার হন সাইম।

তবে হারিস শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে তুলে নিয়েছেন তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ৪৬ বলের ইনিংসটি সাজান ৮টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে। এছাড়া হাসান নাওয়াজ ২৬ ও অধিনায়ক সালমান আলী আগা ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। এমনকি দুই ওপেনার যখন ব্যাটিং করছিলেন তখন মনে হয়েছিল সহজেই দুইশ পেরিয়ে যাবে তারা। ১০.১ ওভারে আসে দলীয় শতরান। আর দেড়শ স্পর্শ করে ১৪.৫ ওভারেই। কিন্তু শেষ পাঁচ ওভারে তেমন আগ্রাসী হতে পারেনি টাইগাররা। ১৬তম ওভারে আব্বাস আফ্রিদি কেবল ছয়টি সিঙ্গেল দেওয়ার পর ১৮তম ওভারে এসে দুই রানের খরচায় দেন জোড়া ধাক্কা।

তবে সিরিজে প্রথমবারের মতো ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে দারুণভাবে তা কাজে লাগান দুই ওপেনার ইমন ও তানজিদ। গড়েন ১১০ রানের জুটি। যেখানে ইমন খেলেন ৬৬ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। ৩৪ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায়।

কিছুটা দেখে খেলে তানজিদ করেন ৩২ বলে ৪২ রান। মারেন সমান দুটি করে চার ও ছক্কা। এরপর অধিনায়ক লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয় দুইজনই ১৮ বল মোকাবেলা করে করেন যথাক্রমে ২২ ও ২৫ রান। শেষ দিকে জাকের আলী ৯ বলে ১৫ রানের ক্যামিও খেলেন। পাকিস্তানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন হাসান আলী ও আফ্রিদি।  

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

5h ago