এশিয়া কাপে বাবর ও রিজওয়ানকে না রাখার ব্যাখ্যা দিলেন আকিব

গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর থেকে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে ছাড়াই সবশেষ চারটি সিরিজে খেলেছে তারা। আসন্ন টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপের স্কোয়াডেও ঠাঁই হয়নি তাদের। দুজনকে না রাখার ব্যাখ্যায় দলটির প্রধান নির্বাচক আকিব জাভেদ বলেছেন, যারা পারফর্ম করবে, কেবল তারাই খেলার যোগ্য।

আগামী ৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। সেজন্য রোববার ১৭ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড রয়েছে সালমান আলী আগার হাতেই। দলে জায়গা পেয়েছেন একঝাঁক তরুণ, যাদের ওপর ভরসা রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

বাবর ও রিজওয়ানের ফেরার আলোচনা থাকলেও শেষমেশ তারা জায়গা পায়নি। দল ঘোষণার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আকিব বলেছেন, ফর্ম ও ধারাবাহিকতা বিবেচনায় দল বাছাই করা হয়েছে, 'বাবর ও রিজওয়ান গত তিনটি (মূলত চারটি) সিরিজের অংশ ছিল না। অন্যদিকে, সাইম (আইয়ুব), ফখর (জামান) ও সাহিবজাদা ফারহান টপ অর্ডারে খেলেছে। এমন না যে, কাউকে কেবল দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স বিচার করে উপেক্ষা করা হচ্ছে কিংবা দলে নেওয়া হচ্ছে। এসব প্রায়ই গণমাধ্যমে আলোচিত হয়। তবে (ক্রিকেটার হিসেবে) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। যারা খেলতে চায়, তাদের সবার জন্যই সুযোগ থাকে।'

পাকিস্তানের সাবেক পেসার যোগ করেছেন, 'টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, রান করার সামর্থ্য এবং ম্যাচের পরিস্থিতি ও আবহ অনুযায়ী স্ট্রাইক রেট। আমরা সব সময় এটাই বিবেচনা করি।'

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের মালিক বাবর। ১২৮ ম্যাচে ৩৯.৮৩ গড়ে তিনি করেছেন ৪২২৩ রান। তবে তার স্ট্রাইক রেট কেবল ১২৯.২২। রান সংগ্রাহকদের তালিকায় বাবরের ঠিক পেছনেই আছেন রিজওয়ান। ১০৬ ম্যাচে ৪৭.৪১ গড়ে তার নামের পাশে রয়েছে ৩৪১৪ রান। তারও স্ট্রাইক রেট সাদামাটা— ১২৫.৩৭। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে দ্রুত রান তুলতে ব্যর্থতার কারণে দুজনকে নিয়ে সমালোচনা অনেক। সেকারণেই গত আট মাস ধরে এই সংস্করণের দল থেকে বাদ পড়ে আছেন তারা।

আকিব নিশ্চিত করেছেন, ফেরার পথ একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি বাবর ও রিজওয়ানের, 'এমন না যে, আমরা তাদেরকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে আমরা যাদেরকে নিয়েছি তা একজন খেলোয়াড়ের বিকশিত হওয়াকে প্রতিফলিত করে। আমি সাহিবজাদা, সাইম ও ফখরের উদাহরণ দিয়েছি। সাহিবজাদা দলে ফিরে এসেছে, সাইম শুরুতে সংগ্রাম করলেও পরে ভালো প্রভাব ফেলেছে। কোনো খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারেরই শেষ বলে দেওয়া যায় না— সুযোগ সব সময় থাকে। এই মুহূর্তে তারা (ক্রিকেটাররা) বিগ ব্যাশ ও পিএসএলের মতো লিগে অভিজ্ঞতা অর্জন করছে। যে পারফর্ম করবে সে খেলবেই এবং যারা পারফর্ম করবে, কেবল তারাই খেলার যোগ্য।'

এশিয়া কাপে 'এ' গ্রুপে খেলবে পাকিস্তান। তাদের তিন প্রতিপক্ষ ভারত, ওমান ও স্বাগতিক আরব আমিরাত। ১২ সেপ্টেম্বর ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসরে নিজেদের অভিযান শুরু করবে দলটি। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে তারা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ১৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ আরব আমিরাত।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia laid to eternal rest

Buried with state honours beside her husband Ziaur Rahman

9h ago